মামুনুর রশীদ মামুন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

 

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। দাফনের প্রায় ৫ মাস পর কবর থেকে অক্ষত অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যায়, সেই নারী অত্যন্ত দানশীল ও নামাজি মহিলা ছিলেন। তাকে বেশ ধার্মিক একজন নারী হিসেবেই জানতেন সবাই।

 

জানা গেছে, জেলার কালজানি নদীর প্রবল ভাঙনে কবরের একপাশ ধসে গিয়ে ওই নারীর লাশের একাংশ বেরিয়ে এলে এলাকার মানুষ অক্ষত অবস্থায় লাশটি দেখতে পায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লাশটি দেখার জন‍্য ওই কবরের পাশে উৎসুক জনতার ভীড় জমে।

 

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর ধলডাঙ্গা গ্রামের (৩ নং ওয়ার্ড) সাবেক ইউপি সদস্য আমবাজ আলীর বাড়ির পারিবারিক কবর স্থান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

 

প্রায় ৫ মাস আগে শিলখুড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আমবাজ আলীর স্ত্রীর মৃত্যুর পর বাড়ির পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সম্প্রতি কালজানি নদীর প্রবল ভাঙনে উক্ত কবরের একপাশ ধসে গিয়ে লাশের একাংশ বেরিয়ে এলে এলাকার মানুষ অক্ষত অবস্থায় লাশটি দেখতে পায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লাশটি দেখার জন্য উৎসুক মানুষের ঢল নামে কবরের পাশে। পরে এলাকাবাসী নদী ভাংনের কবল থেকে ওই অক্ষত লাশটি সরিয়ে নিয়ে এলাকার সামাজিক কবরস্থানে পুনরায় দাফন করেন।

 

শিলখুড়ি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লুৎফর রহমান জানান, লাশ পুনরায় দাফনের কাজে তিনি নিজে নিয়োজিত ছিলেন। লাশের গায়ে কোন রকম দূর্গন্ধ তো দূরের কথা কাফনের কাপড়েও কোন পরিবর্তন তিনি দেখেননি। আগের কাফনেই তাকে পুনরায় সমাহিত করা হয়েছে। মৃত্যুর প্রায় ৫ মাস পরে এ রকম অক্ষত লাশ দেখে তিনি বিস্মিত।

 

শিলখুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ বলেন, এ রকম অলৌকিক ঘটনার কথা লোকমুখে শুনেছি কিন্তু আজ আমি নিজে এটার সাক্ষী হয়ে গেলাম। শুনেছি তিনি অত্যন্ত একজন দানশীল মহিলা ছিলেন। তার কাছে হাত পেতে কেউ কখনও নিরাশ হননি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি তিনি নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন।

 

এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এএসএম সায়েম এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এমনটা হওয়া বিজ্ঞান সম্মত নয়। কোনরূপ সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা ছাড়া দাফনের ১০/১৫ দিনের মধ্যেই প্রাকৃতিক নিয়মেই লাশ পঁচে যাবার কথা। কিন্তু তা যখন হয়নি এটি মহান আল্লাহ পাকের কুদরতি!