আচ্ছা আমরা ছেলে যেমনি মেয়েদের নিয়ে কল্পনা-জল্পনা করি, মেয়েরাও কি ছেলেদের নিয়ে এমন কল্পনা-জল্পনা করে কিনা?
মেয়েরা ছেলেদের মতো ফুড ও সেক্সে সীমাবদ্ধ নয়। এর বাইরে আছে মাতৃত্ব। মেয়েদের মস্তিষ্ক সজাগ বাচ্চার জন্যে। মেয়েরা বাচ্চা নিয়ে জল্পনা কল্পনা করে।
মানুষ সেক্স করে প্রশান্তির জন্য, আনন্দের জন্য, কিন্তু প্রকৃতি চায় নতুনের সৃষ্টি।
ফলে প্রকৃতি ছেলেদের ক্ষয় করাবে মেয়েদের পিছনে বারো মাস ঘুরিয়ে। আর মেয়েদের ক্ষয় করবে বাচ্চার জন্যে বিসর্জন দেওয়ার মাধ্যমে।
আখ খেতে ছাগল বন্দি, জলে বন্দি মাছ নারির কাছে পুরুষ বন্দি ঘুরায় বারো মাস (বাংলা গান)
প্রকৃতির কাজ ভাঙ্গা ও গড়া। মায়ের বিসর্জনে যে দেহ গঠিত হয় তা ক্ষয় করাবে মেয়েরা। আর মেয়েদের ক্ষয় করাবে তার সন্তান। এটাই তো প্রকৃতির খেলা।
যেহেতু প্রকৃতি ক্ষয় করাবে তাই প্রকৃতি মেয়েদের দেখলেই খারাপ চিন্তা ঢুকাবে। কিন্তু আপনাকে ক্ষয় হয়ে যাওয়ার ব্যপারে সতর্ক থাকতে হবে। আপনাকে জানতে হবে কোথায় গিয়ে থামতে হবে।
Knowing when to stop,
you can avoid any danger.
(Lao tzu: tao te ching: chapter :32)
তুমি যদি জানতে পারো কখন থামতে হবে। তবে এড়াতে পারো আসন্ন বিপদ
প্রকৃতিতে বাঘের খাদ্য তালিকায় আছে মানুষ। তাই বলে আপনার উচিত হবে না বাঘের খাদ্য হওয়া।
তাই মেয়েদের মধ্যে পুরুষ ভোগের চিন্তা এতোটা নেই যতটা ছেলেদের থাকবে।
মেয়েদের মধ্যে বহুগামিতা এতোটা নেই যতটা একটা ছেলের থাকবে। কেননা তাদের ব্রেইনের একটা অংশ ব্লক মাতৃত্বের জন্যে। এতে জীবন তৈরি হয়। জীবন বাঁচে। ছেলে মেয়ে উভয়ই জন্মগ্রহন করে দুগ্ধ পান করে। তবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এমনকি মৃত্যুর ১ সেকেন্ড আগেও মেয়েরা মৃত্যুর পর বেহেশত দোযখের কথা এতোটা ভাবে না। যতোটা ভাবে তার বাচ্চার কি হবে।
মেয়েদের সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসিও কম। ছেলেরা মেয়েদের বুককে যতটা গোপন অঙ্গ ভাবে মেয়েরা নিজেরাই এতোটা গোপনাঙ্গ ভাবে না। মেয়েরা কখনো নিজেদের উপর পর্দা আরোপ করে নি। মেয়েদের উপর পর্দা আরোপ হয়েছে পুরুষালি ভাবনায়। ছেলেরা দেখে মজা পায় মেয়েরা দেখিয়ে মজা পায়। আর এরজন্যই তো মেয়েরা বুকের উপরে ওড়না রাখতে চায়না। ছেলেদের আকর্ষণ পাবার জন্য বক্ষদেশ ফুটিয়ে তুলতে চায়।
ছেলেরা স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ককে যতটা খারাপ চোখে দেখবে। মেয়েরা স্বামীর অবৈধ সম্পর্ককে এতোটা খারাপ চোখে দেখে না।
মেয়েরা ছেলেদের দেখলে আসলে এতোটা লজ্জা পায় না। যতোটা ছেলেদের নিকট মনে হয়। এটা পুরুষালি ভাবনা। তাই বাড়িতে বাইরের পুরুষ আসলে পরিবারের ছেলেরা তাদের পরিবারের মেয়ে সদস্যকে আড়াল করতে তৎপর হয়ে উঠে।
সতী নারী ও পর্দাপ্রথা ধারনার উৎপত্তি ছেলেদের সেক্সুয়াল জেলাসি/যৌন ঈর্ষা থেকে।
আলতু ফালতু ভাবনার চেয়ে মেয়েদের ভাবনা তার সন্তানের প্রতি। মেয়েরা চায় তার স্বামীকে বশ করতে কেননা ইহা তার সন্তানের জন্যে মঙ্গল।
খুব কম পুরুষ পাবেন যারা ভাবে আমার স্ত্রী যতই কুৎসিত হোক সন্তানের ভবিষ্যতের চিন্তায় আমি আর বিয়ে করবো না। তারমানে ছেলেদের মানবিকতা কম। ছেলেদের শারীরিক উপভোগের ব্যপারটা বিকশিত। অথচ অহরহ মেয়ে পাবেন যারা এভাবে ভাবেন। বহু ধর্ম কি এমনিতেই এতো মা ও মাতৃত্বের পূজা করে!!
পিতৃত্ব মাতৃত্বের মতো বিকশিত হলে সারাবিশ্বে একজন খদ্দের পাওয়া যাবে না। সব ছেলে চিন্তা করবে টাকাটা বাচ্চার পিছনে খরচ করি।
পিতৃত্ব মাতৃত্বের মতো বিকশিত হলে কোন পুরুষ দ্বিতীয় বিবাহ করবে না। ভাববে আমার সন্তানের কষ্ট হবে।
সুতরাং মেয়েরা এতোটা ছেলেদের নিয়ে ভাববে না যতোটা ছেলেরা ভাববে। ধর্মগ্রন্থগুলি মেয়েদের সাইকোলজি না জানা ২৫-৩০ বছরের তরুন যুবকের ভাবনায় রচিত।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।