হৃদয় শীল ,মধুখালী(ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ–  ফরিদপুরের মধুখালীতে ভোজ্য তেলের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। মধুখালীর বিভিন্ন বাজারে ভোজ্য তেলের সরবরাহ কমে গেছে। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, তাঁরা অর্ডার দিয়েও চাহিদামতো তেলের সরবরাহ পাচ্ছেন না। আবার কোনো কোনো ব্র্যান্ডের তেলের নতুন অর্ডার নেওয়া হচ্ছে না।
গতকাল মধুখালীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ দোকানেই পর্যাপ্ত সয়াবিন তেল নেই। বেশির ভাগ বভ্যসায়ী জানান, সয়াবিন তেল নেই। এক লিটার ও দুই লিটারের বোতল কিছু থাকলেও পাঁচ লিটারের কোনো সয়াবিন সরবরাহ করা হচ্ছে না। বাজার জাতকারী কম্পানিগুলো চাহিদামতো সরবরাহ না করায় সয়াবিন তেলের এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা দাবি করছেন। মধুখালী বাজারের মোল্যা স্টোরের মালিক মোঃ আমিনুল ইসলাম নয়ন বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদামতো তেল দিচ্ছেন না। তেলের সরবরাহ বন্ধ আছে। কয়েকটি ব্র্যান্ডের ডিস্ট্রিবিউটররা তাঁদের অন্য পণ্যের (চিনিগুঁড়া চাল, সরিষার তেল, বিভিন্ন মসলা) অর্ডার নিলেও সয়াবিন তেলের অর্ডার নিচ্ছেন না। অনেক দোকানিরা বলেন, ‘বাজারে তেল নেই বললেই চলে। আমরা বারবার তেল চেয়েও পাচ্ছি না। ডিস্ট্রিবিউটররা আমাদের বলছেন আবারো তেলের দাম বাড়বে বলে সরবরাহ কম। ’ তিনি জানান, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়, এক লিটারের তেল ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।সংকটের কারণে জানতে চাইলে একাধিক বড় বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কম্পানিগুলোর কাছ থেকে বেশি বেশি তেল নিয়ে বাড়তি দামের আশায় মজুদ করছে। ২/৩ জন ভোক্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে দোকানদারেরা অতি পরিচিত বা নিয়মিত গ্রাহক হলে ব্যাগ নিয়ে ভিতর থেকে ৫ লিটারের বোতল ভরে দিচ্ছেন। ভিতরে মজুত থাকলেও  প্রকাশ্যে বলছেন তেল নাই। কয়েকটি ডিলারের থেকে খোজ নিয়ে জানা গেছে কম্পানি থেকে তেল সরবারহ বন্ধ রয়েছে। ঈদের আগে আসবে কিনা তাও বলা যাচ্ছে না। বাজারে এখন ক্রেতাদের খোলা তেলই ভরসা। বাজারে তেল ক্রয় করতে আসা মোঃ বিপ্লব জানান বাজার ঘুরে ১ লিটার বতল তেল ক্রয় করতে পারিনি। অনেক ক্রেতাদের বলেন বাজারে ১ থেকে ২ লিটারের তেল পাওয়া কষ্টকর। ৫ লিটার তো উধাও। যা পাওয়া যায় তার প্রতি লিটার তেলের বতলের দাম রাখা হচ্ছে মূল্যের থেকে লিটার প্রতি ১০ টাকা করে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে প্রশাসন ও ক্যাবের কোন নজরদারি নেই। মধুখালী বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মোঃ আবুল বাসার বাদশা বলেন তেল বাজারে নেই বললেই চলে। ক্রেতারদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। বিকল্প হিসাবে খোলা সয়াবিন ও সরিষা ব্যাবহার করছেন অনেকে। তেলের সংকট নিয়ে উপজেলা  নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান তেলের বাজার আমাদের নজর দারীতে আছে। তেল সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা হয়েছে তারা বেশী দামে বিক্রয় করবেন না। দ্রুতই সংকট কেটে যাবে আশা করছি।