সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, অধিকাংশ অবিবাহিত পুরুষ দিনের পর দিন বিছানার চাদর বদলান না। চার মাসে এক বার বিছানার চাদর কাচেন তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আড়াই হাজার অবিবাহিত যুবককে নিয়ে এই সমীক্ষাটি চালানো হয়।
সমীক্ষার আয়োজন করেছিল বিছানার চাদর প্রস্তুতকারী একটি সংস্থা। তবে এই অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হয়, যখন তারা কোনো সম্পর্কে থাকেন।
সমীক্ষায় অংশ নেয়া প্রায় ৪৫ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন, নিয়ম করে বিছানার চাদর কাচার কথা তাদের মনে থাকে না। একই চাদর দিনের পর দিন বিছানায় পেতে রাখতেও কোনো অসুবিধা হয় না। ফলে সময় গড়িয়ে কখন সেটা চার-পাঁচ মাস হয়ে যায়, তা মাথায় থাকে না।
আবার ১২ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন, সকালে বেরিয়ে যান। রাতে শুধু ঘুমোনোর জন্য বা়ড়িতে আসেন। ফলে চাদর খুব বেশি নোংরা হয় না। তাই ঘন ঘন বিছানার চাদর বদলানোর তেমন কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।
এই সমীক্ষায় অংশ নেয়া অনেকেই প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। এই সংখ্যাটা প্রায় ২৭ শতাংশ। তাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু আলাদা। বিছানার চাদর কাচার ক্ষেত্রে তারা কিছুটা এগিয়ে। প্রেমিকার ভয়ে কিংবা যে কারণেই হোক, এক মাস অন্তর তারা চাদর কাচতে দেন।
আয়োজক সংস্থাটি সমীক্ষার শেষে বিছানার চাদর ব্যবহার করা নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। তাদের মতে, বিছানার চাদর, বালিশের ঢাকা সপ্তাহে এক বার বদলানো উচিত। একই চাদরে দিনের পর দিন ঘুমোনো স্বাস্থ্যকর নয়।
ত্বকের জন্যেও ভাল নয় এই অভ্যাস। তা ছাড়া, পরিষ্কার চাদরে শুলে ঘুমও গভীর হয়। একটা আলাদা স্বস্তি পাওয়া যায়। শীতে ব্যবহৃত মোটা কম্বলগুলি রোজ ধোয়া সম্ভব নয়।
কারণ শুকোতে অনেক সময় লাগবে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে এক বার রোদে দেয়া যেতে পারে। এতে জীবাণুমুক্ত হবে। শীত শেষে কেচে আবার তুলে রাখলেই হল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।