প্রযুক্তির বহুল ব্যবহারের কারণে বর্তমান সময়ে আমরা অত্যধিক হারে মোবাইল, ল্যাপটপ, ইয়ারপ্লাগের মতো ডিভাইস ব্যবহার করছি। কিন্তু এই ডিজিটাল দুনিয়ার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে নিজের অজান্তে আমরা শরীরের ক্ষতি করছি।
সকালে দিনের শুরুতে আমরা এখন ফোন হাতে নেই। সারাদিন ল্যাপটপে কাজ করি কিংবা গান শুনি। ছোট শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক, সব বয়সের ক্ষেত্রেই এসব যন্ত্রের ব্যবহার যেন বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোভিডের কারণে চালু হয়েছিল অনলাইন ক্লাস। কয়েকটি ক্ষেত্রে তা এখনও বজায় রয়েছে। ফলে দিনের বেশ কিছুটা সময় কাটে ল্যাপটপের সামনে।
তেমনই কাজের চাপে, সারা দিন অফিসে ল্যাপটপের সামনে থেকে অনেকে ওঠারই সুযোগ পান না অনেকে। দীর্ঘ ক্ষণ যন্ত্রের সংস্পর্শে থাকার ফলে মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, মনঃসংযোগ কমে যাওয়ার মতো কিছু সমস্যা দেখা যায়। সম্প্রতি ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন এজিং’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, মোবাইল, ল্যাপটপের মতো যন্ত্রের, নীল আলো ডেকে আনতে পারে অকালবার্ধক্য।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটি’-র গবেষকরা জানিয়েছেন, টিভি, ল্যাপটপ এবং ফোনের মতো দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি থেকে আসা নীল আলো ত্বক এবং শরীরের বিভিন্ন কোষের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এমনকি, যন্ত্রের অতিরিক্ত ব্যবহারে তা পৌঁছে যায় স্নায়ু পর্যন্ত। ফলে ত্বকের প্রতিটি কোষ তার নিজস্ব সজীবতা হারাতে শুরু করে।
স্নায়ুর কর্মক্ষমতাও ধীরে ধীরে কমতে থাকে। নীল আলোর সংস্পর্শে আসার ফলে শরীরে গ্লুটামেটের মাত্রা কমতে শুরু করে। যা অকালবার্ধক্যের একটি অন্যতম কারণ হতে পারে। এছাড়া সারাদিন যন্ত্রপাতির মধ্যে থাকার ফলে শরীরে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা আরও দ্রুত বার্ধক্যের দিকে নিয়ে যায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।