ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া গোপালপুর গ্রামে এক নারী বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাসায় সাত দিন থেকে অনশন করছে। সমাধান মিলছে না কোনভাবেই।
জানা গেছে, গড়েয়া গোপালপুর গ্রামের আব্দুর সাত্তারের কন্যার সাথে কয়েক বছর আগে ঠাকুরগাঁও মুন্সির হাটে এলাকার তরিকুলের সাথে বিয়ে হয়। তার স্বামীর সাথে পারিবারিক কলহের জেরে দুই বছর থেকে বারার বাসায় ফিরে আসে। দীর্ঘ দিন বাবার বাসায় থাকায় স্বামী আরেকটি বিয়ে। পরে স্বামীর বাসায় আর ফিরেনি আব্দুস সাত্তারের কন্যা।
বাবার বাসায় অবস্থান নেয়ার পর গড়েয়া গোপালপুর গ্রামের বেলাল ইসলামের ছেলে মানিক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোর পূর্বক একাধিক বার শারিরিক সম্পর্ক করে। এক পর্যায়ে মানিককে বিয়ের কথা বলা হলে মানিক তার কথায় কর্ণপাথ না করলে গত ৭ আগষ্ট ওই মেয়ে মানিকের বাসায় গিয়ে উঠে। মানিকের পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ি থেকে টানা হ্যাঁচড়া করে বের করে একটি সরকারি প্রকল্পের ঘরে তালা মেরে বন্দী করে রাখে । গত ৮ আগষ্ট প্রকল্পের ঘর ও জায়গা হস্থান্তর করার জন্য ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেখানে যান । মেয়েটি যেন কারো সাথে দেখা করতে না পারে সে জন্য তাকে ঘরে বন্দি করে তালা মেরে রাখা হয় ।
পরে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিক মেয়েটিকে বন্দী অবস্থা দেখতে পেলে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। মানিকের পরিবারের হাতে তাকে তুলে দিয়ে স্থানীয় ভাবে বসে বিষয়টি সমাধানের কথা বলা হয়।
গত ৯ আগষ্ট রাতে বিয়ের দেওয়ার কথা বলে মানিকের পরিবার মেয়েটিকে নিয়ে স্থানীয় সোহরাব কাজীর কাছে যায় কিন্তু ৩ লক্ষ টাকা মোহরানা করতে চাইলে বিয়ে না দিয়েই ফেরত আসেন তারা। দফায় দফায় আপোশ মিমাসার জন্য বসা হলেও ঘটনার ৭ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কোন সমাধান না হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মেয়ের পরিবার
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।