ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার বড়বাড়ি লিচুবাগানে সাদ কান্ধলবী অনুসারীদের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) ফজরের নামাজের পর মুফতি আজিম উদ্দিনের বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। জুমার নামাজে দেখা যায় মুসল্লির ঢল।
ইজতেমার জন্য বড়বাড়ি লিচুবাগানে নির্মাণ করা হয়েছে প্যান্ডেল, অজুখানা, বাথরুমসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু। বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেন।
ইজতেমা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন উপজেলার তাবলিগের সাথীরা পর্যায়ক্রমে ইজতেমা মাঠের কাজ সম্পন্ন করেছেন। ইজতেমা মাঠে বিদ্যুৎ, পানি, স্যানিটেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠে সার্বক্ষণিক একটি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে।
মুসল্লি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ফজরের পর থেকে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাবলিগ জামাতের প্রায় ২০ হাজার মুসল্লি ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন। ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে ১০ সদস্যের একটি মুসল্লি দল এসেছে। আগত মুসল্লিরা তাবলিগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শুনছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহাবুব আলম বলেন, ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তায় প্রশাসন সজাগ রয়েছে। সাদা পোশাকধারীসহ সব পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা আছে। মেডিকেল টিমসহ ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমায় ক্রমাগত মুসল্লি বাড়তে থাকায় টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে স্থান সংকুলান হচ্ছিল না। এজন্য ২০১৬ সাল থেকে দুই ধাপে ৩২ জেলার মুসল্লিদের নিয়ে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মুরব্বিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাকি ৩২ জেলার মুসল্লিরা (যেসব জেলার মুসল্লিরা গত বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেননি) নিজ নিজ জেলায় অনুষ্ঠিত ইজতেমায় অংশ নেবেন। সে অনুযায়ী ২০১৭ সালে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথম জেলা ইজতেমা শুরু হয়।
পরবর্তী সময়ে জুবায়ের অনুসারীদের সঙ্গে বিবাদ ও বিভক্তির কারণে ২০১৯ সালে ২০ আগস্ট রাণীশংকৈল শিবদিঘী মোড়ে জেলা ইজতেমার আয়োজন করেন সাদ কান্ধলবী অনুসারীরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।