শাহজালাল মোল্লা নগরকান্দা প্রতিনিধি:ফরিদপুরের নগরকান্দায় ঈদ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ১১০টি ঘর পেলেন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধিনে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কফাই বালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১১০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জায়গা সহ ঘর বুঝিয়ে দিয়ে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

চাল, ডাল সেমাই, চিনি কিংবা শাড়ি লুঙ্গি নয়; ঈদের উপহার হিসেবে দেয়া হচ্ছে জমিসহ ঘর। এর মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। এবারের ঈদুল ফিতরে একেবারে নিঃস্ব ও ভূমিহীনদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে দেয়া হলো এসব।

২০২০ সালে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশে ভূমিহীনদের নিজস্ব ঠিকানা করে দেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নতুন করে আশ্রয়ন প্রকল্প। বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। গত বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পেরিয়ে এখন চলছে এ প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের কাজ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারে ৩য় পর্যায়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে,যাতে ছিন্নমূলদের মুখে হাসি ফোটে।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ খলিলুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব শাখাওয়াত হোসেন মুন, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, সংসদ উপনেতার রাজনৈতিক প্রতিনিধি শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামীম হক নগরকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ বেলায়েত হোসেন মিয়া, সংসদ উপনেতার একান্ত সহকারী সচিব শফিউদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইকবাল কবির সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, জেলা ও উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা, আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও উপকারভোগিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নগরকান্দার সাথে সংযুক্ত হয়ে ইতিপূর্বে উপকারভোগি মোসাম্মৎ ছাবিরন আক্তার বলেন, চার বছর ধরে স্বামী পরিত্যক্ত অবস্থায় ভাইয়ের বাসায় অভিশপ্ত দিন কাটাচ্ছিলাম আমার ছিলনা কোন মাথা গোঁজার ঠাঁই, আমি সেলাই মেশিন চালিয়ে কোন মতে দিন কাটাতাম, আজ আমি একটি নতুন ঘর পেয়েছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছোঁয়ায় আমার জীবন পাল্টে গেছে, আমি প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ আয়ু কামনা করি ,আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্না করে দেন একপর্যায়ে আসন্ন ঈদের শুভেচ্ছা এবং স্বচক্ষে দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানান। ও পরে মালতি রানীর সাথে কথা বলেন এবং তাদের পাল্টে যাওয়া জীবনের গল্প শুনেন।