প্রথমে বলে নেই, আমি একজন মাদরাসা শিক্ষার্থী। তো মাদ্রাসায় আমাদের সবার প্রিয় একজন শিক্ষক ছিলেন। তিনি খুবই ফ্রি ছিলেন আমাদের সাথে।
একদিন ক্লাসে আমরা তাঁকে পাত্রী দেখা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম যে, পাত্রী দেখার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে ?
হুজুর বললেন :
দেখ , আমি যেদিন আমার জন্য পাত্রী দেখতে যাচ্ছিলাম, মনে মনে আমার দোষগুলো খুঁজে বের করলাম ৷ গুণে গুণে দেখি আমার মধ্যে অন্তত ১৬টা দোষ বা খুঁত আছে ৷ এই যে তোমরা দেখছ আমার নাক বোঁচা, ঠোঁট মোটা, দাঁতগুলোর মাঝে ফাঁকা, আবার আমি বেঁটেও, এই সেই আরও কতো কী ……………. হুজুর হেসে দিলেন ৷
এখন আমি যেই মেয়েকে দেখতে যাচ্ছি তার মধ্যে যদি ১৬টা দোষ থাকে তাহলে তো অপছন্দের কিছু নেই ৷ কারণ দুজনেই সমান সমান ৷ আমরা কেউ কারো থেকে শ্রেষ্ঠ নই ৷ আমি যেমন সেও তেমন ৷
আর যদি তার কাছে আমার থেকে একটি দোষও কম থাকে, তাহলে তো সে আমার থেকে শ্রেষ্ঠ ৷ তখন তো আমি তাকে অপছন্দ করার প্রশ্নই আসে না ৷
যদি তোমরা পাত্রী দেখার সময় এই কথাটা খেয়াল রাখ এবং এরকম মনোভাব নিয়েই পাত্রী দেখতে যাও, তাহলে পছন্দ হতে কোন অসুবিধে হবে না ৷ আর যদি নিজের খুঁত এবং দোষের দিকে না তাকিয়ে শুধু মেয়ের দোষ দেখ, তাহলে জীবনেও পাত্রী পছন্দ হবে না ৷ তোমার জন্য পাত্রীও খুঁজে পাবে না ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।