ভিটামিন ডি মূলত শরীরের স্নেহপদার্থ দ্রবীভূত করার একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। এটি সূর্যালোকের প্রভাবে শরীরে কোষে কোষে তৈরি হয়। হাড় মজবুত করতে তো বটেই, শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্যেও ভিটামিন ডি অত্যন্ত উপকারী। তবে ভিটামিন ডি অন্যান্য ভিটামিনের চেয়ে কিছুটা আলাদা।
এক-এক ধরনের হরমোনও বলা হয়। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে ত্বক থেকে এক ধরনের স্টেরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয়। সূর্যের আলো ছাড়াও কয়েকটি খাবার যেমন দুধ, ডিম থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে শরীরের ভিটামিন ডি এর অত্যধিক ঘাটতি দেখা দিলে তখন অনেকেই ভরসা রাখেন ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টের উপর। তবে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টের অত্যধিক সেবনে অনেক সময়ে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কয়েকটি শারীরিক উপসর্গ থেকে বুঝতে হবে যে, ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়া বন্ধ করার সময় এসেছে। সেই লক্ষণগুলি কী কী?
হাড়ে যন্ত্রণা
শরীরে ভিটামিন ডি এর উচ্চ মাত্রার কারণে রক্তে এই ভিটামিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে হাড়ের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ঘাটতি শুরু হয়। তাই হাড়ের যন্ত্রণা বা হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।
কিডনির সমস্যা
হাইপারক্যালশেমিয়ামের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কিডনি। এ ছাড়াও ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়। এই রোগটিকে বলা হয় পলিউরিয়াও।
হাইপারক্যালশেমিয়া
ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করে হাড় সুস্থ রাখে। তবে শরীরে ভিটামিনডি-র অতিরিক্ত ব্যবহার রক্তে ক্যালশিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যাকে বলে হাইপারক্যালশেমিয়া। সাধারণত শরীরে ক্যালশিয়ামের স্বাভাবিক মাত্রা ৮.৫-১০.৮ মিলিগ্রাম। স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে বমি বমি ভাব, বমি, দুর্বলতার মতো শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।