একটা সম্পর্কে দুজন মানুষেরই সমান দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকা দরকার। একে অপরের সঙ্গে গুণগতমান সম্পন্ন সময় কাটানো দরকার। তার পরও বেশ কিছু কারণের জন্য সম্পর্কে বিচ্ছেদ তৈরি হয়। মনোবিদদের মতে, এখন করোনা পরিস্থিতি চলছে। এই সময়ে সংক্রমণের চিন্তায় অনেক সময়ই আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।
স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করতে গিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে সঠিকভাবে নজর দেওয়া হয় না অনেক ক্ষেত্রেই। তাই মানসিক স্বাস্থ্য সঠিক রাখতে আমাদের লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাসে নজর দেওয়া বিশেষ জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু কারণে সম্পর্ক নষ্ট হয়, দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী।
১. বিশেষজ্ঞদের মতে, সঙ্গীর যেকোনও বিষয়ে প্রশ্ন তোলার ফলে অনেক সময়ই পরিস্থিতি ঠিক থাকে না। বহু মানুষেরই এমন অনেক অভ্যাস থাকে যে, তারা সারাক্ষণই সঙ্গীকে বিরক্ত করেন। এর ফলে সম্পর্কে অবনতি দেখা দেয়।
২. সম্পর্ক সঠিক রাখার জন্য রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। অত্যধিক রাগ সম্পর্ককে নষ্ট করে দিতে পারে বলে মন বিশেষজ্ঞদের।
৩. পরিবার কিংবা বন্ধুদের সম্পর্কে অহেতুক কিংবা সারাক্ষণ যদি কু বাক্য প্রয়োগ করা হয়, তাতে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। এতে সঙ্গীর একে অপরের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়, মানসিক স্বাস্থ্য নষ্ট হয়। আর তা সম্পর্ককে নষ্ট করে দেয়।
৪. সম্পর্ক সঠিক রাখতে সঙ্গীকে অন্য কোনও ব্যক্তির সঙ্গে তুলনা করার অভ্যাস এখনই বর্জন করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, যখনই কোনও ব্যক্তি তার সঙ্গীকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করে ছোট করছেন, তখন অপর ব্যক্তির মনে তা প্রভাব পড়ছে। আর এতেই নষ্ট হচ্ছে সম্পর্ক।
৫. বিশেষজ্ঞদের মতে, সারাক্ষণ মোবাইল ফোনে সময় কাটানো কিংবা গেম খেলা বা টিভি দেখার অভ্যাসও সম্পর্ককে নষ্ট করতে পারে।
৬. সঙ্গীর পুরনো কোনও ভুল মনে রেখে সে সম্পর্কে সারাক্ষণ কথা বললে কিংবা কু মন্তব্য করলে সম্পর্ক নষ্ট হয়। তাই সম্পর্ক সঠিক রাখতে এমন অভ্যাস এখনই ত্যাগ করা জরুরি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।