‘নি-জয়েন্ট’ বা হাঁটু শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অস্থিসন্ধি। এটি ফিমার, টিবিয়া ও প্যাটেলা নামক তিনটি হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত। বিভিন্ন কারণে হাঁটু ব্যথা হতে পারে, তবে আমাদের সচেতনতা এবং একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে হাঁটু ব্যথা সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা যেতে পারে।
হাঁটু ব্যথার কারণ * অস্টিওআর্থ্রাইটিস, এই অবস্থায় অস্থিসন্ধির কার্টিলেজ বা কোমলাস্থি ক্ষয় হয় এবং ব্যথা হয়। * টিবি। * টিউমার।
* সেপটিক আর্থ্রাইটিস।
* কন্ড্রোম্যালেশিয়া প্যাটেলা, প্যাটেলার নিচের অংশের কার্টিলেজ ক্ষয় ও নরম হয়ে যায়।
* বেকার সিস্ট, সাইনোভিয়াল ফ্লুইড এর পরিমাণ অতিরিক্ত হলে তা হাঁটুর পিছনে জমে যায় এবং সিস্ট তৈরি হয়। এর ফলে ব্যথা হয়। * হ্যামিস্ট্রিং এবং কোয়াড্রিসেপ্স মাংসপেশী শক্ত ও দুর্বল হলে। * আঘাতজনিত কারণ।
লিগামেন্ট ইনজুরি। করণীয় শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে। * আঘাতজনিত কারণে ব্যথা হলে এবং হাঁটু ফুলে গেলে হাঁটুতে বরফ দিতে হবে। কোনো অবস্থায় গরম সেক দেওয়া যাবে না। বেশি ফুলে গেলে বা ফোলা না কমলে লিগামেন্ট ইনজুরি হতে পারে, এই অবস্থায় একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। * নি ক্যাপ বা নি ব্রেস ব্যবহার করতে পারেন।
* হাঁটু ভাজ করে দীর্ঘ সময় বসে থাকবেন না। * হাই কমোড ব্যবহার করুন। * ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। * যেকোনো ধরনের আর্থ্রাইটিস এর সমস্যা থাকলে লাল মাংস ও চিংড়ি মাছ পরিহার করুন। আরও যা করণীয় * বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে হাঁটুর নিচে একটি বালিশ বা বড় তোয়ালে রোল করে দিয়ে হাঁটু দিয়ে প্রেসার দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এভাবে ১০ বার পুনরাবৃত্তি করবেন। অপর হাঁটুতেও একইভাবে করবেন। * এসব নিয়ম মেনে চলার।
পরও যদি আপনার হাঁটু ব্যথা না কমে তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনো প্রকার অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ওষুধ কিংবা অ্যানালজেসিক/পেইন কিলার সেবন করা থেকে বিরত থাকুন। লেখক: ফিজিওথেরাপি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ; কনসালটেন্ট, প্রিমিয়ার ফিজিওথেরাপি কনসালটেশন সেন্টার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।