শেখ মোস্তফা কামাল,কেশবপুর(যশোর): কেশবপুরে ১৫ই আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করার লক্ষে ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি’র প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮জুলাই) রাতে ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখা কার্যালয়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল সভাপতিত্ব করেন।

ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসাইন এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক এনামুল হাসান নাঈম, প্রচার সম্পাদক মোস্তফা কামাল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সৌরভ কবির, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক তুষার কান্তি সাহা, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাকিব আল হাসান, সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

প্রস্তুতিমূলক সভায় উপস্থিতিদের মতামত ও আলোচনার মাধ্যমে শোক দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় ও নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ­­­১৫ আগস্ট ঢাকার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের বর্ষণের মতো গুলিতে স্বপরিবারে নিহত হন।নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুর সাথে নিহত হন তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজী কামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি। বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিল উদ্দীন নিহত হন। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। এই নির্মম হত্যাকাণ্ড বাংলার ইতিহাসে এক কলঙ্কিত বর্বরোচিত অধ্যায়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি আরশাদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আববক্কার সিদ্দিক, সদস্য রবিউল ইসলামসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।