সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন।
সংগঠনটি মনে করে, আন্দোলনকারীদের উচিত হবে আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ না বাড়িয়ে, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে সহায়তা করে কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিগুলোকে দৃঢ় আইনি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করা, যাতে ভবিষ্যতে এ নিয়ে আর জটিলতা সৃষ্টি না হয়।
সোমবার বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ এক বিবৃতিতে এই আহবান জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা বলেন, দেশের সচেতন সকল মহলের মতো সাংবাদিক সমাজও মনে করে কোটা পদ্ধতির একটি যৌক্তিক সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। এই দাবিতে যে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন তাদের সঙ্গে সাংবাদিক সমাজের ভিন্নমত নেই। সাংবাদিক হিসেবে গত কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ শেষে আমাদের মন্তব্য হচ্ছে যে, কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার করার দাবিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন এই যৌক্তিক বিষয়টিকে পূর্ণতা দিতে আন্দোলনকারী, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে এক সাথে কাজ করতে হবে।
বিবৃতিতে আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী স্লোগান ও কর্মকাণ্ডের জন্য উদ্বেগ জানানো হয়।
এ বিষয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আন্দোলনের কোন কোন পর্যায়ে কেউ কেউ এমন আচরণ করছেন যা’ মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির প্রতিনিধিত্ব করছে। আমরা দৃঢভাবে বিশ্বাস করি এটি এই আন্দোলনের মূল সুর নয়। কিন্তু কোন বিশেষ মহল এই আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির পক্ষে, বাংলাদেশ বিরোধী বা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বিরোধী পথে পরিচালনা করার চেষ্টা করছে কি না এই প্রশ্নও এখন সামনে আসছে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।