রাকিবুল হাসান আহাদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

স্যার,
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি ভালো আছেন। আমি শারিরীক ও মানুষিক ভাবে ভালো নেই। কারন আমি গত ১৮ মার্চ সন্ত্রাসী হামলায় গুরিয়ে দেয়া হাত পা নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৯নং ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলাম। ২৯ মার্চ ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছি। হাতের অবস্থা মোটামুটি ভালো হলেও পা অপারেশন করাতে হচ্ছে।

৭৫ বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালনে অসুস্থতা আমাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি। বাম হাতে ধীরে ধীরে শরীরে অসয্যকর যন্ত্রনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশে পিছপা হইনি। রাষ্ট্রের কাজে আমাকে কোন বাঁধা হার মানাতে পারেনি। আহত শরীল আর ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়ে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের একজন ক্ষুদ্র কলম সৈনিক হিসেবে নিজের বিবেকের দায়বদ্ধতা থেকে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছি। জানি না কতদিন পারব। মনে হয় অনেকটা হতাশার দ্বারপ্রান্তে এসেছি।

আমার উপর হামলার পর আপনাদের ফেসবুক ঝধফধৎ ঈরৎপষব গুসবহংরহময অফিসিয়াল পেইজে সমস্ত ডকুমেন্ট দেওয়ার পর আপনি যে ভূমিকা নিয়েছেন তার জন্য আপনার কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কারন আপনি আসামি গ্রেফতারে তদন্ত কর্মকর্তা সোহেল রানাকে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে আমি মনে করি আসামি প্রকাশ্যে চলাফেরা আর তদন্ত কর্মকর্তা সোহেল রানার তৎপরতা বলে দেয় তিনি আপনার নির্দেশের কোন তোয়াক্কা করেন নি। যা করেছে যেটুকু করেছে তা লোক দেখানো মাত্র। আপনি আমাকে যথেষ্ট সাহস দিয়ে বলে ছিলেন পাবলিক দিয়ে আসামি ধরে ফোন করলে সাথে সাথে পুলিশ পাঠাবেন। কিন্তু স্যার পিস্তল ঠেকিয়ে যে একজন সাংবাদিককে তার বাহিনী দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা গুড়িয়ে দিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়ায় তাকে পাবলিক দিয়ে ধরে পুলিশের হাতে সর্পোদ করা কতটুকু সহজ কাজ?

আমার মামলার একজন আসামি কথিত পুলিশের সোর্স খোকন সে প্রতিদিন থানায় যায় কিন্তু গ্রেফতার হয়নি। মাঝে মাঝে মনে হয় একজন সাংবাদিক হওয়ার চেয়ে সোর্স হওয়া উত্তম। কারন তারা এজাহারভূক্ত আসামি হয়েও থানায় ঘোরাঘুরি করতে কোন সমস্যা নেই।

আমার মামলার ৬ জন আসামি জামিনে আসার পর বাকি আসামিদ্বয়কে গ্রেফতারে বা অস্ত্র উদ্ধারে কোন প্রকার তৎপরতা না দেখানোর কারনে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় ডিবি কতৃক তদন্তের আবেদন করলে তাও এখন পর্যন্ত মঞ্জুর হয়নি। বর্তমানে আসামিরা দোকানে ও হাট-বাজারে বসে প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে বলছে মামলা তুলে না নিলে আরও দুইটি হাত-পা ভেঙে দিবে। আমাকে আসামিরা বলেছে অফিস খুলতে দেওয়া হবে না। বর্তমানে আমি পরিবারবর্গ নিয়ে আতঙ্কিত।

এলাকায় পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজারে ছোট-বড় সকল লোকমুখে আসামিদ্বয়ের সাথে তদন্ত কর্মকর্তার মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেনের বিষয়ে আলোচনা, সমালোচনার চাপা গুঞ্জন বাতাসে বয়ে বেড়াচ্ছে। কথিত সোর্স খোকন সাহেব কাচারী বাজারে প্রকাশ্য বলেছে মামলা শেষ, আসামি ধরবে না, চাপের মুখে পরে পুলিশ আসবে লোক দেখানো।

সর্বশেষ আমি আমার বিচারের দাবী আজ থেকে এখানেই ইতি টানলাম। মাইর খাইলো সাংবাদিক টাকা পাইলো মানবিক পুলিশ।

মোঃ মাইন উদ্দিন উজ্জ্বল
প্রকাশক
৭৫ বাংলাদেশ ডটকম
মামলা নং-৯৮(৩)২০২১