মনিরামপুর প্রতিনিধিঃ ৩৩ বছর বয়সের তরতাজা যুবক আব্দুর রাজ্জাক জনির অকাল মৃত্যুতে নিস্তব্ধ ও গভীরভাবে শোকাহত হয়ে পড়েছে তার ছোট ছোট ২ ছেলে মেয়ে,স্ত্রী, বাবা-মা, একমাত্র ছোট ভাই রনি, বন্ধু মহল, আত্মীয়স্বজন সহ তাহেরপুর গ্রামের প্রতিটি মহল।

ব্রেন্ট স্ট্রোক জনিত কারণে দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ্যতার পর গত সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে যশোর কুইন্স হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মাত্র ৩৩ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মনিরামপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড তাহেরপুর গ্রামের আবুল কালামের বড় ছেলে মোঃআব্দুর রাজ্জাক জনি(৩৩)।
মনিরামপুর রাজগঞ্জ রোডে কোহিনূর ইলেকট্রনিকস এর স্বত্বাধিকারী ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক জনি।
ভোররাতে মৃত্যুর সংবাদ জানার পর সকালে মরদেহ তাহেরপুর গ্রামে আসলে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ তৈরি হয়।কেউ কাউকে সাত্বনা দিতে পারেনি।ছোট ছোট ছেলে মেয়েকে জড়িয়ে আহাজারি করছে জনির স্ত্রী, সতন্তানকে নিজের আগে চলে যাওয়া দেখে কিছুতেই নিজেকে সামাল দিতে পারছেন না বয়স্ক বাবা আবুল কালাম।
বিভিন্ন এলাকা থেকে আত্বীয় স্বজন,বন্ধু মহল সহ প্রতিটি ব্যাক্তির আহাজারিতে গোমট ভাব চলে আসে জনির বাড়িতে।এলাকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে আর্তনাদে।
মৃত জনির বাবা জানান,কয়েকমাস আগে জনির ব্রেন্ট স্টক হয়,সেখান থেকে যশোর, খুলনা সহ বিভিন্ন চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করতে থাকে।সর্বশেষ যশোর কুইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছে।আপনারা সবাই আমার ছেলের রুহের মাগফেরাত কামনা করবেন।
সোমবার জোহরের নামাজের পর তাহেরপুর চৌরাস্তা মোড়ে জানাযার নামজের পর পারিবারিক কবরস্থানে অকালে মৃত্যু বরন করা জনির দাফন সম্পন্ন করা হয়।