মনির খান, ষ্টাফ রিপোর্টার: নড়াইলের লোহাগড়া থানার সামনে পৌর ভবনের নিচতলায় কাজী ফার্মের ফাষ্ট ফুডের দোকানে ৯ বছরের এক শিশু আব্দুল্লাহ আল মামুন বসে খাবার খাওয়া অবস্থায় খাবার গলায় বেঁধে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, এবং ওখানে ই তার মৃত্যু হয়।

নড়াইলের লক্ষীপাশা গ্রামের রাশেদ খন্দকার জুনায়েত এর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৯) আজ রবিবার ০৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটের সময় আর এল পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে ছুটি হলে সে লোহাগড়া থানার সামনে কাজী ফার্ম নামক ফাস্ট ফুডের দোকানে নাস্তা করার জন্য যায়।

এবং সে চিকেন মিটবল খাবার খাচ্ছিল, এবং খাবার খেতে খেতে হঠাৎ গলায় আটকিয়ে যায়, তখন ওই দোকানের কর্মচারী মিল্টন ও নাজমুল তাঁকে চিকিৎসার জন্য লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ বিপাশা তাঁকে চিকিৎসা সেবা দিতে প্রথমে ইসিজি করে আনতে বলেন, তার পর আব্দুল্লাহর বাবা জুনায়েদ ডাক্তার কে বার বার বলেন আমার ছেলে কে একটু দেখেন ওর দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ওর গলার মধ্যে কিছু দিয়ে গলাটা ক্লিয়ার করেন তখন ওই ডাক্তার বিপাশা জুনায়েদ কে বলেন আপনি ডাক্তার না আমি ডাক্তার?

এমন করে ডাক্তার তাকে চিকিৎসা দিতে বিলম্ব করেন। ইতিমধ্যে জুনায়েদ এর ছেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে । জুনায়েদ আরো বলেন আমার ছেলে মারা গেছে এক মাত্র ডাক্তারের চিকিৎসার অবহেলার কারণে। আমি ওই ডাক্তারের বিচার চাই। লোহাগড়া থানা অফিসার্স ইনচার্জ শেখ আবু হেনা মিলন এর কাছে ঘটনাটির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি শুনেছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।