আচমকাই রূপবদল করেছে ঘূণিঝড় ‘অশনি’। বাংলাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গে এর প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। উপকূল এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি বৃষ্টি হচ্ছে।

মঙ্গলবার আবহাওয়াবিদ মো. শাহিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় অশনি বাংলাদেশে কোনো আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। তবে এর প্রভাবে সমুদ্রকূল এলাকায় ভারি বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এ অতি গভীর নিম্নচাপ ক্রমশ মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোচ্ছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অশনির আগমনের আগেই রোববার থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে এনডিআরএফের দল। আন্দামানের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছেন এনডিআরএফ সদস্যরা।

আবহাওয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, মনে করা হচ্ছে— এ মুহূর্তে উত্তর আন্দামান সাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে না। বর্তমান সিস্টেমটি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তবে নিম্নচাপের ফলে আন্দামানে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এর জন্য প্রস্তুত রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মঙ্গলবার বিকালের মধ্যে একটি ‘নিম্নচাপ’ হিসাবে মিয়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি।

আন্তর্জাতিক নাম তালিকা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি পরিচিত হবে ‘অশনি’ নামে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে শ্রীলংকা। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর দিকে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। সেখান থেকে উত্তরপূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ঘূর্ণিঝড় অশনি আছড়ে পড়বে মিয়ানমার উপকূলে।

 

 

কলমকথা/ বিথী