ঈদুল আজহার দিন সারা দেশে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। ঈদের পর আরও চার থেকে পাঁচ দিন সারা দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা সারা দেশেই সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, দুই দিন ধরে সারা দেশে যেভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, ঈদের দিনেও তা অব্যাহত থাকবে।
তবে দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে আসতে পারে। সারা দেশে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। পরবর্তী দুই দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের সন্দীপে সর্বোচ্চ ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কুতুবদিয়ায় ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।