পৌষের মাঝামাঝি সময়ে এসে দিনাজপুরসহ আশপাশের এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আকাশ মেঘলা থাকায় তাপমাত্রা মাপন যন্ত্রের পারদ কিছুটা ওপরে উঠলেও বৃষ্টিতে যেন শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে এই অঞ্চলে।
বুধবার ভোর ৪টা থেকে জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয় এবং তা ৫টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এর পরও দু’এক ফোঁটা বৃষ্টি ঝরছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, ১ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১.০ মিলিমিটার।
তিনি আরও জানান, উত্তরের হিমেল বাতাস এবং পূবালী বায়ুর সংমিশ্রণের ফলে পৌষের মাঝামাঝি সময়ে এসে এই বৃষ্টিপাত হয়েছে। পূবালী বায়ু কিছুটা উষ্ণ এবং উত্তরের বায়ু হিমেল। এই উষ্ণ ও হিমেল বায়ুর সংমিশ্রণের ফলে বাতাসের জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হওয়ায় এই বৃষ্টিপাত।
দিনাজপুরের পর ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলাসহ কিছু কিছু এলাকায় আজ বুধবার এই বৃষ্টিপাত সংঘটিত হতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে আকাশ মেঘলা থাকায় মঙ্গলবার দিনাজপুরে তাপমাত্রা মাপন যন্ত্রের পারদ কিছুটা ওপরে উঠেছে। দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও বুধবার সকাল ৬টায় তা বেড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বৃষ্টিপাতের ফলে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে রাতের তাপমাত্রাও কিছুটা হ্রাস পেতে পারে বলে আভাস দেন দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন।
তিনি জানান, আগামীকাল থেকে এই অঞ্চলে কুয়াশার প্রভাব বাড়বে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সকাল ৯টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।
অন্যদিকে তাপমাত্রা মাপন যন্ত্রের পারদ কিছুটা ওপরে উঠলেও বৃষ্টিপাতের ফলে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। বৃষ্টিপাত আর তীব্র শীতে জড়োসড়ো হয়ে পড়েছে দিনাজপুরসহ এই অঞ্চলের মানুষ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। বিপাকে পড়েছেন সকালে কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ।
#যুগান্তর
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।