ব্যাথাযুক্ত, কোমল এবং ভারী স্তন ব্যাথাযুক্ত, কোমল, ভারী স্তন বা গাঢ়তর এরিওলা হল পিরিয়ড মিস করার এক সপ্তাহ আগে লক্ষনীয় গর্ভাবস্থার লক্ষণ। গর্ভধারণের পর এস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে, মহিলারা স্তনে ব্যথা, পূর্ণতা অনুভব করেন এবং স্তনে তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করেন।

গর্ভ হলে স্তনের মুখ কালাে দেখা যাবে। মুখের থেকে থুতু বের হবে । মুখ শুকনাে । দেখা যাবে , সমস্ত শরীর ভারী মনে হবে । আলস্য ভাব লাগবে । নবজাত সন্তান পুত্র বা কন্যা হবে গর্ভবতী স্ত্রীর হাতের তালু লাল দেখা গেলে পূল হবে । সাদা দেখা গেলে কন্যা । হবে । গর্ভবতী স্ত্রীর স্তনের এক বিন্দু দুধ আয়নার উপর দিয়ে রৌদ্রে দেখলে , যদি মােতি বিন্দুর মতাে দেখা যায় তবে পুত্র হবে । চারদিকে জড়িয়ে গেলে কন্যা হবে ।

স্তনরক্ষা স্ত্রী – মানে প্রথম ঋতুর প্রথম দিনে রক্ত স্তনদ্বয়ে লাগালে স্তনদ্বয় চিরদিন পরামিডের মতাে হয়ে থাকে । সুখে প্রসব । স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা উঠলে চুল বা ঠোটা ছােট তেঁতুল গাছের কাঁচা শিকড় তুলে এনে ধুয়ে পরিষ্কার করে গভিনী সীৰ চুলের সঙ্গে বেঁধে গন্ধ এখালে প্রায় আধ ঘন্টার ভিতরের সুখে এসব হয় । প্ৰসবাওে সেটি তাড়াতাড়ি খুলে ফেলতে হবে ।

আপামার্গ মুল বেঁটে নাভিত্তিতে ও যােনিতে প্রলেপ দিলে সুখে এসব হয় । অনুরােধ কৃষ্ণা চতুর্দশীর দিন কালাে ধাতুরা গাছের শিকড় নিয়ে তামার মাদুলির ভিতরে ভর্তি করে স্ত্রীর কোমরে বেঁধে সহাস করলে গর্ভ হয় না । অথবা সহবাস পরে আধখােলা রাশিতেলের মধ্যে ৪ রতি সন্ধব লবন মিশিয়ে খেলে গর্ভ হয় না ।

বন্ধ্যাত্ব লক্ষণ যে স্ত্রীলোকের সন্তান হয় না তাকে বন্ধ্যা বলে । বন্ধ্যাত্ব কোন রোগ নয় । শ্বেতপ্রদর , বাধক , রক্তরোধ , স্ত্রীজননাঙ্গের গঠনবিকৃতি বা ক্ষুদ্রতা , জরায়ু , ডিম্বাশয়, ডিম্ববাহী নালী প্রভৃতিতে অর্বুদ সহ বিভিন্ন কারণে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে । আবার স্বামীর দোষেও অনেক সময় বন্ধ্যাত্ব আসতে পারে।

চিকিৎসা : ১০ গ্রাম নাগেশ্বর ফুল চূর্ণ , ১০ গ্রাম কাকড়াশৃঙ্গী , ১০ গ্রাম শ্বেতবেড়েলা , ১০ গ্রাম যষ্টিমধু , ১০ গ্রাম রক্তবেড়েলা একত্রে হামানদিস্তায় চূর্ণ করে নিতে হবে । এই চূর্ণ ১ চামচ , ঘি ১ চামচ , মধু ১ চামচ , দুধ ১০০ গ্রাম এক সাথে মিশিয়ে দৈনিক সকালে খেতে হবে এভাবে ১ মাস । পথ্য ঃ পুষ্টিকর পথ্য , প্রতিদিন গোসল এবং ১৫ দিন পরপর সহবাস করতে হবে ।