মনির খান, স্টাফ রিপোর্টার: নড়াইল লোহাগড়া পৌরসভা খলিশাখালি গ্রামে মা ও মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মীম(১৬) কে জোর করে তার বাবা,চাচা এবং ফুফুরা মিলে বাল্যবিবাহ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
বুধবার ৯ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মেয়ের মা নার্গিস বেগম বলেন,আমার মেয়ে একজন স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী সে লক্ষীপাশা গার্লস স্কুলে দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। আমার এবং আমার মেয়ে মীমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার বাবা, চাচা ও ফুফুরা মিলিয়ে আমার নবালিকা মেয়েকে বিবাহ দিয়েছে,আমি বাধা দিলে আমার স্বামী, ননদ, ভাশুর সহ বাড়ির সকলে মিলে আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট সহ গলাধাক্কা দিয়ে বাড়ির বাহিরে বের করে দেয় ।
বিবাহ বন্ধ করার জন্য আমি ৯৯৯ এ কল দেওয়া সহ লোহাগড়া থানার পুলিশ কে অবগত করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও আমি এসে দেখি আমার না বালিকা মেয়ে নেই,তাকে জোর করে বিবাহ দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে ।
আমার মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিবাহ দিয়েছে, যদি এখন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করে মারা যায়? তখন এর দায়ভার কে নেবে?আমি এটার বিচার চাই এবং আমার মেয়েকে আমার কাছে ফেরত চাই ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।