বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নে খৃষ্টান ধর্মালম্বী এক নারীকে (২৮) পাট ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায় লাভলু মোল্যা (৩০) নামে এক যুবক। গত সোমবার দুপুরে ধর্ষণ চেষ্টার এ ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সকালে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন মেম্বার ওই নারীকে দুই হাজার টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

জানা যায়, সোমবার প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে ওই নারী তাঁর বাচ্চাদের খুঁজতে বাড়ির পাশে যায়। এ সময় বেলজানি গ্রামের ইলিয়াস মোল্যার ছেলে লাভলু মোল্য (৩০) তার মুখ চেপে ধরে পাঁজাকোলা করে ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে পাশের পাট ক্ষেতে নিয়ে যায়। পাট ক্ষেতে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ওই নারীর চিৎকারে জিয়াউল ইসলাম তুষার নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক এগিয়ে গেলে লাভলু পালিয়ে যায়। বাংলাদেশ পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে এসআই উত্তম কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অভিযুক্ত লাভলু পলাতক রয়েছে।

ঘটনার বিষয় স্বীকার করে নির্যাতিত ওই নারী জানায়, সোমবার দুপুরে ঘটনার পর বিকেলে একদফা সালিশ বসে। মঙ্গলবার সকালে আরেক দফা সালিশ বৈঠক পরে আলাউদ্দিন মেম্বার আমাকে দুই হাজার টাকা দেয়।

চন্ডিবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক জিয়াউল ইসলাম তুষার বলেন, আমি পাশে কাজ করতেছিলাম। হঠাৎ মহিলার চিৎকার শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখি লাভলু ওই মহিলার সাথে ধস্তাধস্তি করছে। ঘটনা বুঝতে পেরে দ্রুত এগিয়ে গেলে লাভলু পালিয়ে যায়।

আলাউদ্দিন মেম্বার বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ সঠিক না। এলাকায় দুইটা পক্ষ আছে। প্রচুর মামলা মোকদ্দমা আছে। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে সব সময়। তার জের ধরে এ ঘটনার সূত্রপাত।

এসআই উত্তম কুমার বলেন, ঘটনা জানতে পেরে এলাকায় গিয়েছিলাম। স্থানীয় আলাউদ্দিন মেম্বারের ভাষ্যমতে পাশের একটি ছেলের সাথে ওই মহিলার ঝামেলা আছে। তাই নিয়ে একটু সমস্যা হয়েছে। এলাকার লোকজন বসে মিমাংসা করে দিবে।

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মাদ আব্দুল ওহাব বলেন, বিষয়টি শুনে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। আমরা জানতে পারি পাশের ওই ছেলের সাথে মহিলার ঝামেলা আছে। আপনারা বলছেন ধর্ষণ চেষ্টা। যদি তাই হয় তাহলে মহিলাকে মামলা করতে বলেন। আমরা মামলা নিবো।