বাল্য বিয়ে বন্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও আইনের এই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বড় দুঃসাহস নিয়ে প্রতিনিয়ত অহরহ ঘটছে বাল্য বিয়ে।
এমনটি ঘটেছে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ১৪ নং দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের বিপ্রোকোনা গ্রামে। কনের বয়স সবেমাত্র ১৫ হয়েছে, তাতেই বাবা মার ঘুম হারাম হয়ে গেছে মেয়ের বিয়ে দেয়ার জন্য। বিপ্রোকোনা গ্রামের মোঃ আলমগীর হোসেনের একমাত্র মেয়ে মীম খাতুন(১৫)।
মাধ্যমিকের গন্ডি না পেরুতেই এরই মাঝে পারিবারিক ওয়াদা রক্ষার্থে বিয়ের পিঁড়িতে বসে মীম খাতুন। অপরিণত বয়সের মেয়ের বিয়ের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কবীর হোসেন পলাশের নির্দেশনা অনুযায়ী, সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসান ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে বর সহ বরযাত্রীরা পালিয়ে যায়। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত কনের বাবা মোঃ আলমগীর হোসেন কে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে ১ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ, মণিরামপুর থানা পুলিশের (এস.আই) প্রসেনজিৎ কুমার মন্ডল , (এএসআই) নূরইসলাম।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসান বলেন, অপ্রাপ্ত বয়সে মেয়েকে বিবাহ দেওয়ায়। মেয়ের বাবাকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন অনুযায়ি ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ। বাল্য বিবাহকে না বলুন।
বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধি ও অভিভাবকদেরকে সচেতন হতে হবে। আমাদের সমাজ থেকে বাল্য বিবাহ দূর করতে হবে। বাল্য বিবাহ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনস্বার্থে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে এ অভিযান অব্যহত থাকবে।উ
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।