পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত পাঁচ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। বুধবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ গাজীপুর এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শামীম হাওলাদার নামে পরিচিত এক যুবকের সঙ্গে ওই গৃহবধূ মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে বের হয়। এরপর অন্য আরও তিন যুবকসহ শামীম ওই গৃহবধূকে সন্ধ্যার দিকে উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব গাজীপুরে একটি কলাবাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পার্শ্ববর্তী একটি রাস্তার ওপর ফেলে রেখে যায়।
পরবর্তীতে ওই গৃহবধূকে সেখানে একা দেখতে পেয়ে আরও চার যুবক তাকে ভাণ্ডারিয়ায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কলা বাগানে নিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় ভাণ্ডারিয়ায় ফিরে এসে বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে উপজেলার গাজীপুর গ্রামের রশিদ খন্দকারের ছেলে সম্রাট খন্দকার (২৭), শহিদুল শিকদারের ছেলে রব্বানী শিকদার (২২), রশিদ খন্দকারের ছেলে মিরাজ খন্দকার, নূরুল হাই হাওলাদারের ছেলে ইব্রাহিম হাওলাদার (২৫), হানিফ তালুকদারের ছেলে অহিদুল ইসলাম তালুকদার (২২), সেকেন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে হোসেন হাওলাদার (২৪), বড় কানুয়া গ্রামের জলিল হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদার এবং অজ্ঞাত আরও এক যুবককে আসামি করে ভাণ্ডারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে শামীম, ইব্রাহিম, রব্বানী, মিরাজ, হামিদ ও অহিদুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সকালে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।