মোঃ রাশেদুল ইসলাম মিঠাপুকুর প্রতিনিধি:
মিঠাপুকুরের অভিরামপুর গ্রামে ধর্ষণের শিকার গৃহবধু [ছদ্মনাম: সুমাইয়া বেগম] (২২) বেশ কিছুদিন আগে পার্শ্ববর্তী বাড়ির মৃতঃ আঃ মজিদের (ভারী মজিদের) ছেলে জাবেদুল ইসলাম (২৫) দীর্ঘদীন থেকে তার উপর কু-দৃষ্টি দেয়।এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় তিন মাস আগে জাবেদুলের ভাবি শাপলা বেগম সুকৌশলে ঐ গৃহবধূকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ানোর পর তাকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে এবং কাউকে বিষয়টি জানালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বার বার জোর পূর্বক ধর্ষণ করে জাবেদুল ইসলাম। তার স্বামী ঢাকায় থাকায় ঐ গৃহবধূ এতোদিন চুপ করে ছিলেন।
ধর্ষিতার স্বামী তিনমাস পর বাড়িতে আসলে বিষয়টি তিনি তার স্বামী কে জানান।এরপর তার স্বামী, ধর্ষণের বিচার চেয়ে এলাকার মাতব্বরদের কাছে বিচার দেন। আজকাল করে গ্রামের মাতব্বররা ধর্ষক জাবেদুলের কাছ থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মোঃ খোরশেদ আলী বলেন, আমি মামলা করতে বলেছি। যারা মিমাংসার কথা বলে টাকা খেয়েছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।
এছাড়াও ঐগ্রামের কিছু লোকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান,এইসব মাতব্বররা সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে অসহায় মানুষের কাছে থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
এছাড়াও ভিকটিম [ছদ্মনাম: সুমাইয়া বেগম] বলেন,আমি থানায় এজাহার দিয়েছি। আমি ন্যায় বিচার চাই।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) জাকির হোসেন জানান, দ্রুত গতিতে পুলিশ পাঠিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে।এবং ভিকটিমকে পুলিশের সহযোগিতায় থানায় নিয়ে এসে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।