লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবু সায়েদের বিরুদ্ধে শতাধিক বয়স্ক-বিধবা-প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর)  দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর ও জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ঐ এলাকার ২৩ জন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন ইউপি সদস্য আবু সায়েদ ও তার সহযোগীরা। এমনকি ইতিমধ্যে তার আত্মীয়স্বজন নিয়ে মানববন্ধনের নামে ফেসবুক পেজ লাইভে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, সরকার সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বয়স্ক, বিধবা ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা করতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী নামে একটি প্রকল্প চালু করে। প্রকল্প চালু হওয়ার পর ভাতাভুক্তদের তালিকা করে প্রতি মাসে ৫শ থেকে ৭শ টাকা হিসাবে ৩ মাস পর পর তাদের প্রাপ্য ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এজন্য উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সায়েদ তার ওয়ার্ডসহ অন্যান্য ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের থেকেও শতাধিক বয়স্কভাতা-প্রতিবন্ধীভাতা ও সরকারি ঘর দেয়ার নাম করে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেছেন।
আত্মসাৎ করা অর্থ ফেরত চাইলে ভুক্তভোগীদের হুমকি ও নানা হয়রানি করেন এবং অনেকের ভোটার আইডিতে বয়স কম হলেও বয়স বাড়িয়ে বয়স্ক ভাতার নামে টাকা নেন পরে সেই ভোটার আইডি পর্যন্ত আটকিয়ে রেখেছেন বলে গ্রামবাসীরা জানান।
 এদের মধ্যে ওই ওয়ার্ডের শফিকুল মিয়া, জহিরুল মিয়ার হতে সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য ৬০ হাজার টাকা নেন, এছাড়া বয়স্ক ভাতার নামে শ্রী প্রফুল্ল কুমার রায়, রেজিয়া বেগম, আব্দুর রহিম, নুর জামাল, ফজলুল হক,সাদেক আলী, শুকর আলী, হযরত আলীসহ একশোর অধিক ভুক্তভোগীদের আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত এবং বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার ৬ অক্টোবর আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করেন ইউপি সদস্য বলেন, ‘আমি কোনো টাকা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা নাটক তারা সাজিয়েছে। আমার প্রতিপক্ষ ভোটে হেরে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
জেলা সমাজসেবা সহকারী পরিচালক উম্মে সালমা রূমা বলেন এই অভিযোগ শুনেছি এবং এজন্য গতকাল মিটিং করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্হা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারোয়ার বলেন, ‘ইউপি সদস্য সায়েদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযোগ সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।