লালমনিরহাটে ব্র্যাকের উদ্যোগে মাসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা দিবস পালন করা হয়েছে।
রোববার(২৮ মে) লালমনিরহাট বত্রিশ হাজারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় “অধিকার এখানে এখনই (আরএইচআরএন২)“ প্রকল্প কর্তৃক কিশোর কিশোরী ও যুবদের জন্য যৌন শিক্ষা ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার নিশ্চিত করে যুববান্ধব যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবায় সবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, প্রকল্পের বিভিন্নকাজের ধারাবাহিকতায় মাসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা দিবস-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়।
ঋতুস্রাবকে ২০৩০ সালের মধ্যে জীবনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে গ্রহণ করা এইপ্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বত্রিশ হাজারী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোহসিনা বেগম মিনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিবার পরিকল্পনার সহকারী পরিচালক শেখ শাহিদুজ্জামান। প্রকল্প সম্পকে অবহিত করন ও দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন ডিস্ট্রিকইয়ুথ মোবিলাইজার দিপংকর রায়। সঞ্চালন করেনইয়ুথ গ্রুপের সদস্য শিব সুন্দওবর্মন। অনুষ্ঠানে মাসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার উপর কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের মাঝেপুরস্কার হিসেবে সেনেটারি প্যাড প্রদান করা হয় ।বত্রিশ হাজারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহসিনা বেগম মিনা বলেন, মাসিক পরিচর্যা দিবস টি পালন করায় ব্র্যাক কতৃপক্ষকে সাধুবাদ জানাই। তাদের এই উদ্যোগ গ্রহন করায় আমাদের ছেলেমেয়ে তাদের বয়সসন্ধীকালের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেত হচ্ছে। মাসিক বিষয়টা শুধু মেয়েদের বোঝালেই হবে না, এটা নিয়ে ছেলেদের সঙ্গেও কথা বলা সমান জরুরি। এটা স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক বিষয়, তাই এটা নিয়ে লুকোচুরি বা গোপনীয়তার কিছু নাই।যুব সদস্য অর্পিতা দেব বলেন, মানুষ মনে করে এটা লজ্জার বিষয়, এটা প্রকাশ করা যাবে না, কারওসঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। আমি চাই, মানুষের এই ভুল ধারণা ভেঙে যাক। সবাইকে জানাদরকার মাসিক বা ঋতুস্রাব খুব স্বাভাবিক বিষয়। সব মেয়েকে এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।যুব সদস্য শহিদ ইসলাম বলেন মাসিক বা ঋতুস্রাব লজ্জার বিষয় নয়, বরং গর্বের অথচ মাসিক নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে রয়েছে নানা ধরনের কুসংস্কার বা সামাজিক ট্যাবু। মাসিককালীন সময়ে অনেকে স্কুলে যাওয়া ছেড়ে দেয়। মাসিক স্বাস্থ্যপরিচর্যা বিষয়ে ব্যবহারিক ও প্রাথমিক জ্ঞান অনেক মেয়েরই থাকে না। সঠিক তথ্যের অভাবে অনেকের মনে আতঙ্ক কাজ করে এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাসিককালীন পরিচর্যা করতে পারে না,বিভিন্ন অসুখ শরীরে বাসা বাঁধে। ফলে অনেকেই সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে না।এজন্য মাসিক নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে, কুসংস্কারদূর করতে, সামাজিক ট্যাবু ভাঙতে, খোলামেলা আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে, জড়তা দূরকরতে আমাদেরও সচেতন হতে হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।