গত ১৯ ডিসেম্বর ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ তুলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের ধর্ষণ চেষ্টার শিকার এক নারী।থানায় দেওয়া সেই লিখিত অভিযোগটির কিছু অংশ পরিবর্তন করে মামালা এজাহার ভুক্ত করেছে পুলিশ, এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ঐ নারী।

২৪ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী নারী।অভিযোগকারী নারী পড়াশুনায় অজ্ঞাত হওয়ায় তার পক্ষে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মুশরত মদাতি এলাকার মৃত আব্বাস গণির পুত্র শাহাজাহান আলী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন(ধর্ষণ চেষ্টার শিকার নারীর প্রতিবেশী) ।এসময় ঐ নারীর স্বামী মোঃ মনছের আলী জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে অভিযোগকারী বলেন, তিনি গত ২৯ ডিসেম্বর ২১ইং সন্ধা ০৬.৩০টায় একই এলাকার মেছের আলীর পুত্র মোঃ মমিদুল ইসলাম, এবং রমজান আলীর পুত্র মোঃ আনারুল তার ঘরে প্রবেশ করে মুখ চেপে ধরে ঘাড়ে করে বাহিরে নিয়ে গিয়ে মুখ ও হাত পা বেধে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগীর গোঙ্গানী শুনে পাশের বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে ধর্ষণ চেষ্টাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ঐ নারী বাদী হয়ে পলাতক ব্যক্তিদের নামে কালীগঞ্জ থানায় গিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করার পরবর্তীকালে কালীগঞ্জ থানা প্রশাসন উপর মহল এবং এলাকার প্রভাবশালী মহলের কুচক্রে তার মূল অভিযোগটির কিছু অংশ পরিবর্তন করে মামলা রেকর্ডভূক্ত করেন। যাহার মামলা নং- ৪০/২১ তাং-২৯ ডিসেম্বর ২০২১ইং ও স্বারক নং- ৩২৪৬(৩)-১।
লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করে তিনি বলেন, থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে ঘরে ঢুকে মুখ ও হাত পা বাধা বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়। যেটি ঘটনার বিপরীত। তাছাড়া মামলা পরবর্তীতে আসামীগণ তাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদর্শণ করায় তিনি আবারও থানায় তাদের নামে ১০৭ ধারা মতে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটির রিসিভ কপি চাওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত কালীগঞ্জ থানা প্রশাসন তা দেয়নি। ফলে তিনি সর্বক্ষণ আসামীদের ভয়ে ও অজানা আশংকায় দিন কাটাচ্ছেন।

এছাড়া লিখিত অভিযোগটি পরিবর্তন করে মামলা রেকর্ড ও আসামীদের গ্রেফতার না করায় হতাশ হয়ে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার পেতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ধর্ষণ চেষ্টার শিকার শিল্পি বেগম ও তার স্বামী মনছের আলী।