কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরীতে শ্যালিকাকে হত্যার দায়ে দুলাভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হলেন ঐ উপজেলার আশকর নগর গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে আব্দুল গনি। নিহত শ্যালিকা একই গ্রামের বাবু মিয়ার তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাফছা আকতার খুশি। এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে ১১সেপ্টেম্বর রবিবার বিকালের দিকে ওই গ্রামের খুশির নিজ শয়ন কক্ষে। পরে নাগেশ্বরী থানার পুলিশ রাতে মরদেহ উদ্ধার ও দুলাভাই আব্দুল গনিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সোমবার সকালে নিহত খুশির বাবা বাদী হয়ে আব্দুল গনিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে পুলিশের কাছে এ হত্যার দায় স্বীকার করেন গনি।
জানা গেছে, আব্দুল গনির সাথে চলতি মাসের ৪ তারিখে খুশির চাচাতো বোন আঙ্গুয়ারা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর শশুর বাড়িতে বেড়াতে আসে আব্দুল গনি।শশুর বাড়িতে রাতে ঘুমানোর জায়গা না থাকায় খুশি যে বাড়িতে থাকে সে বাড়িতে নব বিবাহিত বউ নিয়ে থাকত গনি। এসময় স্বামী স্ত্রীর গোপন অভিসার দেখে ফেলে খুশি। এই রাগে খুশিকে মারপিট করার পরিকল্পনা করে গনি। পরিকল্পনা মোতাবেক রবিবার বিকেলে খুশিকে একা পেয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে বিছানায় ফেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে। পরে বিষয়টি ভিন্নখাতে পরিচালিত করার জন্য খুশির মরদেহ ঘরের ধর্ণার সাথে ঝুলিয়ে রাখে গনি।
জানা যায় খুশির বাবা ঢাকায় প্লাস্টিকের কারখানায় কাজ করেন।পারিবারিক কলহের জেরে ৩ মাস আগে খুশির মা বাবার বাড়িচলে যান। সেই থেকে আশকর নগর গ্রামের ফুপুর বাড়িতে তিন বোনসহ থাকতো খুশি।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবিউল হাসান জানান, সোমবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত আব্দুল গনিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।