কোনো স্বার্থ ছাড়ায় প্রতিনিয়ত মানবতার কাজে অসহায় ও গরিব মানুষের পাশে দাড়িয়ে সেবা প্রদান করে আসতেছেন ইসমাইল।অসহায় এর মুখে খাবার, পথ শিশুদের নিয়ে নানান রকমের ইভেন্ট, মুমূর্ষু রোগীদের রক্ত ম্যানেজ এবং নতুন নতুন রক্তদাতা ও স্বেচ্ছাসেবী তৌরির কারিগর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার একটিই কথা ” রক্তের এবং খাবারের অভাবে কোন অসহায় রোগী যেন মারা না যায়।
উনার পুরো নাম মোঃ ইসমাইল হোসেন।পিতাঃ মোঃ ইব্রাহীম আকন্দ। ঠিকানাঃ দাইমূল্যা, পিরব বাজার,শিবগঞ্জ, বগুড়া।মধ্যবিত্ত ঘরের একজন সাধারন ছেলে। পারিবারিক সমস্যার জন্য অনার্স পরিক্ষা দিতে না পারলেও থেমে থাকনি তার লেখাপড়া ।
ছোট বেলা থেকেই তার মানবতার কাজ করার বড় ইচ্ছে।২০১৭ সালে মায়ের নামে ‘মোমেনা ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠিত করেন। শুরু হয়ে যায় মানব সেবা। তার পর ২০১৮ সালে ❝মোমেনা অনলাইন রক্তদান সংগঠন বগুড়া❞ নামে সংগঠন প্রতিষ্ঠিত করেন।যা মুমূর্ষু রোগীর জন্য ব্লাড ম্যানেজ করার ক্ষেত্রে অনেক বড় ভুমিকা পালন করে। এরপর ২০২০ সাল থ্যালাসেমিয়া প্রেভিনশন ক্যাম্পেইন বগুড়া নামে একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠান তৌরি করে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এর পাশাপাশি বর্তমান মোমেনা ফাউন্ডেশন এর একটি সেবামূলক প্রজেক্ট “এক মুঠো আহার” এর মাধ্যমে প্রতি মাসে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চাদের খাবারের ব্যাবস্থা করে আসছেন।
ইসমাইল বলেন, মানবতার কাজের জন্য অনেক ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে কিন্তু কখনও ছেড়ে দিতে পারিনি মানবতার প্লাটফর্ম। সারা বাংলাদেশে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে অসহায় ও গরিব মানুষের সেবা প্রদান এর ভুমিকা কম নয়।বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ১৫০ এর অধিক গ্রুপে যুক্ত থেকে মানবতার কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরোও জানান, এ যাবত তার নিকট বগুড়া এবং আশে পাশে বিভিন্ন জেলার প্রায় ৩ হাজার থ্যালাসেমিয়া রোগীর তথ্য সংগ্রহ রয়েছে যাদের তিনি ❝থ্যালাসেমিয়া কেয়ার সেন্টার❞ নামে একটি প্রতিষ্টানের মাধ্যমে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।