সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভিটামিন ও খনিজের অভাব থেকে উত্তরণে সাজেদা ফাউন্ডেশনের সাথে অংশীদারিত্ব করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)। এর আওতায় স্কুল ক্যাম্পাসের ভার্টিক্যাল গার্ডেন থেকে উৎপাদিত সবজি দেশজুড়ে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

 

স্কুলটির ‘সার্ভিস সেটারডে’ অনুষ্ঠান থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সাজেদা ফাউন্ডেশনের আরবান পোভার্টি এলেভেশন প্রোগ্রামের সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর আফওয়াজা রহমান দৃষ্টি এ বিষয়ে হাতেকলমে দিক-নির্দেশনা দেন। এসময় আইএসডি’র শিক্ষার্থী ও কর্মীরা পুষ্টি নিশ্চিত করার গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পালংশাক, সরিষা শাক, টমেটো, বেগুন ও মরিচের মতো বিভিন্ন পুষ্টিকর সবজি আবাদ করে।

 

প্রান্তিক এলাকায় অপুষ্টি প্রতিরোধ করা ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন করে তোলাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য। শুরুতে সাজেদা ফাউন্ডেশনের সুদিন প্রোগ্রামের সহযোগিতায় মালিবাগ বস্তির ৩০টি পরিবারকে সবজি প্রদান করবে আইএসডি’র শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে এসব সবজি ১০০ পরিবারের মাঝে বিতরন করবে তারা। আগামী বছর দেশের আড়াইশো পরিবারের মাঝে এসব সবজি বিতরণ করা হবে।

 

এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা’র সিএএস কো-অর্ডিনেটরের হেড অব সায়েন্স চার্লস গুম্বা বলেন, “বাংলাদেশের অপুষ্টিজনিত সমস্যা এবং অর্থনৈতিক ও পুষ্টিগত বাস্তবতা সম্পর্কিত বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে। ভার্টিক্যাল গার্ডেনের এই উদ্যোগ চাষাবাদের বাস্তব দক্ষতা তৈরি করবে এবং দেশজুড়ে পুরো আইএসডি কমিউনিটির মাঝে ইতিবাচক প্রভাব তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।”

 

সাজেদা ফাউন্ডেশনের পার্টনারশিপ অ্যান্ড ফান্ডরেইজিং কো-অর্ডিনেটর ফারহিন আহমেদ টুইংকেল বলেন, “আইসিডিডিআরবি’র হিসাব অনুযায়ী, ৩৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী খাদ্য অনিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রায় ৬ লাখ শিশু মারাত্মক অপুষ্টিজনিত প্রভাবের মধ্যে রয়েছে। দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির সাথে পুষ্টি সরাসরি জড়িত; আর এটিকে যথাযথভাবে সামাল দিতে সক্ষম হওয়া সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আইএসডি’র সাথে এধরনের উদ্যোগের অংশীদার হতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্ববোধ করছি।