ডা. আজাদ খান, ব্যুরো প্রধান (ময়মনসিংহ): সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের একটি মসজিদের সামনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ই-প্রেস ক্লাব ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
‘মত প্রকাশের স্বাধীনতার’ নামে মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধ ও ধর্মীয় প্রতীককে অপমান করার মত জঘন্যতম কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সদরদপ্তরে প্রতিবাদ লিপি প্রেরণ করেন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ই-প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ। সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত উসকানি বন্ধে বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্য অনুসারে, সুইডেনে বসবাসরত ইরাকি নাগরিক সালওয়ান মোমিকা বুধবার স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ই-প্রেস ক্লাবের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলুল কবীর বলেন, ” ইসলাম শান্তির ধর্ম আর এই শান্তির মূলমন্ত্র হলো মহাগ্রন্থ পবিত্র আল-কোরআন। নিঃসন্দেহে মহাগ্রন্থ পবিত্র আল-কোরআনের অবমাননা শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট ও উস্কানিমূলক যা মেনে নেওয়া যায় না, বাক স্বাধীনতা প্রকাশের নামে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে বিশ্ব শান্তি লঙ্ঘন করা যা আন্তর্জাতিক অপরাধের শামিল।তিনি এহেন ঘৃণ্য অপরাধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা, সিলেট বিভাগীয় প্রধান ও ই-প্রেস নিউজ এর নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক মাসুদ লস্কর মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের অবমাননার নিন্দা জানিয়ে বিশ্বনেতাদের কাছে অপরাধীকে শাস্তির দাবি জানান।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রধান, সাংবাদিক ডা.  মোঃ শফিকুল ইসলাম আজাদ খান বলেন –
এ ঘটনা মুসলিম বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে।
আসুন আমরা ঘৃণা ও চরমপন্থাকে প্রত্যখ্যান করে সারাবিশ্বে সহনশীলতা এবং সম্প্রতির বার্তা ছড়িয়ে দিই।
পবিত্র কুরআন পোড়ানোর এই ঘটনা ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক তৎপরতাকে উসকে দেবে। এ জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে শান্তি ও সম্প্রীতির সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে হবে। চরমপন্থার বিরুদ্ধে নিন্দা জানানোকে সম্মিলিত দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন। তিনি এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান দোষীর চরম শাস্তি দাবি করেন।
সংগঠনের ভারতীয় শাখার প্রধান কবি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আব্দুল গাফফার এক প্রতিবাদ লিপিতে বলেন, সারা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ যা প্রতিটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক সংবিধান। শুধু তাই নয়, সকল মানবজাতির জন্য বিশ্ব শান্তির বার্তা এবং অনুশাসন এই পবিত্র আল-কোরআনে বিরাজ করছে। যে সংবিধান ত্যাগ তিতিক্ষা এবং সংযমের মাস পবিত্র রমজান মাসে নাজেল (সৃষ্টি) হয়েছিল, সেই মহাগ্রন্থ পবিত্র আল-কোরআন যে বা যারা অগ্নিদগ্ধ করে পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়ার ঘটনা সারা বিশ্বের শান্তি বিঘ্নিত করা, দাঙ্গা লাগানো এবং ধর্মীয় ভাবাবেগের উপর আঘাত করা। এ ধরনের ঘৃণ্য এবং নিন্দনীয় কাজের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকলকে ধিক্ জানানোর পাশাপাশি সকল শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে অপরাধীর কঠোর শাস্তি দাবি করছি। ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার কবি,সাহিত্যিক ও সাংবাদিক সৌমেন্দু লাহিড়ী বলেন, প্রত্যেক ধর্মগ্রন্থই মহা মূল্যবান।
সব ধর্মের মূলমন্ত্র হল সত্য, সততা এবং শান্তি।
মহামূল্যবান পবিত্র কোরআন এই ভাবে পোড়ানো, এই ঘটনা ভাবা যায় না। এবং এই ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।