মোঃ আরিফুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার কুয়াদাঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পদের ভারমুক্ত হওয়ার পর পরই বিশ্বব্যাপী করোনার ছোবলে মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক তখনই দেশব্যাপী জয়-লেখকের নেতৃত্বে মানবিক কাজের মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে ছাত্রলীগ।
জাতীয় এই দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে লড়াইয়ে সংগঠনটির কেন্দ্র থেকে তৃণমুল প্রায় অর্ধলক্ষ নেতাকর্মী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। করোনার শুরুতে সারাদেশে হ্যান্ড স্যানিটাইজার আর মাস্কের দাম যখন আকাশ ছোঁয়া তখন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার সারাদেশে, প্রতিটা জেলায়, উপজেলায়, ওয়ার্ডে বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। এরপর শুরু হলো সাধারণ ছুটি। তখনই দেশব্যাপী সরকারের সাথে সাথে নিজেদের হটলাইন থেকে মধ্যবিত্তদের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সাধারণ ছুটিতে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা পড়ছিলো কৃষিতে। ধান কাঁটার লোক নাই, শ্রমিকের বেতন বেশি। সময়মত ধান কাটা না হলে ধান ঝড়ে যাবে। আবার বৃষ্টি হলে পানিতে তলিয়ে যাবে।
ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে নেতাকর্মীরা নেমে পড়লো কাঁচি হাতে। এখন পর্যন্ত দেশের প্রায় সব জেলায় ধান কেঁটে দিয়েছে ছাত্রলীগ। দেশের ৪৫টা জেলায় ৩০০+ স্থানে ফ্রি সবজী বিতরণ করেছে সংগঠনটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। হাজার হাজার দিনমজুরকে প্রতিদিন রান্না করে খাবার বিতরন করেছেন বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী। বিগত কয়েকমাসে করোনায় যারা মৃত্যবরণ করছেন যখন তাদের শেষ যাত্রায় স্বজনরা আতংকে দূরে সরে যাচ্ছেন ঠিক তখনই সারাদেশে ছাত্রলীগের কয়েকটি ইউনিটের নেতাকর্মীরা করোনায় মৃত ব্যক্তিদের জানাজা, লাশ দাফন করেছে।
বিগত দুইবছরে ছাত্রলীগের এমন কার্যক্রমকে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোর জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন সাধারণ মানুষ। ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যের যোগ্য নেতৃত্বে সংগঠনটির ভাবমুর্তি আগের তুলনায় ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যশোর জেলা শাখার পক্ষ থেকে তাদের দুজকে ভালবাসা আর নিরন্তর শুভকামনা জানাই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।