দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর ব্রেভ প্রকল্পের উদ্যোগে সম্প্রীতির বাগেরহাট জেলা গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে ইমাম, পুরোহিত, যাজক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে আন্ত:ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত। ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত দিনব্যাপি এই কর্মসূচিটি বাগেরহাট সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনে তিন উপজেলার ৬০ জন বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর ব্রেভ প্রকল্পের সহিংস উগ্রপন্থা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এস কে এ হাসিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক ইবনে মিজান হিরু।
এছাড়া দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলের সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রঞ্জু, বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ, জেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত এবং গীর্জার যাজক উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা একটি সম্প্রীতির জেলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আন্ত:ধর্মীয় সম্পর্কের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা বলেন, সকল ধর্মই মানবতার কথা বলে, মানুষের প্রতি ভালোবাসার কথা বলে।
ধর্ম কখনও মানুষের প্রতি অক্রমনাত্বক অচরণ করার কথা বলে না বরং ধর্মীয় অনুভুতি সম্পন্ন মানুষ সকলসময় সকল ধর্মের মানুষের প্রতি সহনশীল হয়। বাগেরহাট পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলাম বলেন “সকল ধর্মের মূল বিষয় হচ্ছে শান্তি ও সম্প্রীতি, কোনো ধর্মই সংঘাতের কথা বলে না। আমরা যে ধর্মেরই অনুসারি হইনা কেন পরষ্পরের প্রতি পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ধরে রাখতে পারলে আমরা একটি মর্যাদাপূর্ণ মানবিক সমাজ গড়তে পারবো।
বাগেরহাট পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইবনে মিজান হিরু বলেন,“একজন প্রকৃত ধর্মপ্রাণ মানুষ কোনো সময় অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি সহিংস হতে পারেন না। ধর্মীয় অনুশাসন মানুষকে পরিশুদ্ধ করে তোলে, এই শিক্ষা আমাদের ধর্মীয় নেতারা প্রচারের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন।
অনুষ্ঠানে ধর্মীয় নেতারা নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ থেকে উগ্রবাদ ও সহিংসতা প্রতিরোধে ধর্মের ব্যখ্যা ও সম্প্রীতির বাণী তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান শেষে সকলেই একটি সম্প্রীতির বাগেরহাট জেলা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।