উত্তর জনপদে হঠাৎ করে জেঁকে বসেছে শীত। এতে কষ্ট বেড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষের। পৌষের শুরুতে শুরু হয়েছে কনকনে শীত। রাতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে নেই। গরম কাপড় জড়িয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন সামর্থবানরা।
কিন্তু চরম বিপাকে পড়েছে ভবঘুরে, আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী, বেদে সম্প্রদায়, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ। শীতের তীব্রতায় রীতিমতো কাঁপছে তারা। ফলে এসব অসহায় মানুষের কাছে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিতে অক্লান্তভাবে কাজ করতেছেন ভূল্লী থানার ৫ নং বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভূল্লীতে নিজ কার্যালয়ে প্রযায়ক্রমে ৫০০শত হতদরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন তিনি।
কনকনে শীতের শুরুতেই চেয়ারম্যানের এ মহতি কাজের ভুয়সী প্রশংসা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণ।
এদিকে কম্বল পেয়ে অসহায় শীতার্ত মানুষগুলোর মুখে হাসি ফুটেছে। তারা বলেন, কনকনে শীতে তাদের জীবন-যাপন বড় কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতকে উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান তাদের হাতে কম্বল তুলে দেয়ায় তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন অনেকে।
৫ নং বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো চৌধুরী বলেন, এই শীতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকে ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র মানুষগুলো। এ শ্রেণীর মানুষগুলো এমনিতেই অসহায়ভাবে জীবন-যাপন করে থাকে। গত কয়েক দিন ধরে সারাদেশে বইছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ-ব্যাধি। যাদের শীত নিবারনের ব্যবস্থা নেই। তাই ব্যাক্তিগত উদ্যোগে শীতার্তদের জন্য কম্বল সবার আগে এদের মাঝে বিতরণ করেছি।
পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনও অসহায় শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, করবে। এরই ধারাবাহিকতায় রাতে নিজে কিছু অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের হাতে কম্বল তুলে দিয়েছি। নিজ হাতে অসহায় মানুষগুলোকে কম্বল দিতে পেরে তারও খুব ভালো লাগছে বলে জানান চেয়ারম্যান। এ কম্বল বিতরণ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলেও উল্লেখ্য করে তিনি সমাজের বৃত্তবানদেরকে এসকল অসহায় শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।