

মোঃ তাহেরুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী ডোমার উপজেলার ২নং কেতকীবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গঠিত ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সধারণ সম্পাদক পদে ছাত্রদলের নেতা। এ নিয়ে ছাত্রলীগের তৃণমূলের ত্যাগি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ২নং কেতকীবাড়ি ইউনিয়েন ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক মো. জিয়াউল কবীর কে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে।
এ ছাড়া ওই ইউনিয়নে আরেক ছাত্রদল নেতা মো.আশরাফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ২নং কেতকীবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেওয় হয়েছে।
গত ১২অক্টোবর ডোমার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সব্যসাচী রায় ও সাধারণ সম্পাদক মো: হাফিজুর রহমান মানিক, উপজেলার ঐ ইউনিয়নে ছাত্রলীগের কমিটি ১বছরের জন্য ১১ সদস্যের কমিটি অনুমোদন করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, ‘ছাত্রলীগের ২নং কেতকীবাড়ি ইউনিয়ন কমিটি গঠনে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে এবং কোন সম্মেলন বা প্রতিনিধি সভা না করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনগড়া এ কমিটি গঠন করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে,ডোমার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অর্থের বিনিময়ে ঐ ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। এবিষয়ে নীলফামারী কলেজ শাখার ছাত্রলীগের গণিত বিভাগের সাবেক সভাপতি মোঃ মজনু আলম বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে কেতকীবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ করে আসতেছি।
আমি আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের সাথে থেকে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম ও আওয়ামীলীগ কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচি ও ছাত্রলীগের সকল কর্মসূচি পালন করে আসছি। রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে গণজাগরণ মঞ্চে আমার ভুমিকা ছিল, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নিবার্চনে ছাত্রলীগের প্রচার আহবায়ক ছিলাম।
এমনকি ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের জাতীয় নিবার্চনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে জীবন হুমকির মুখে পরে আমি এখন পযন্ত বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি, আমি এখনো আছি, ছিলাম, থাকবো । কিন্তু দুর্ভাগ্য জনক হলোও সত্যি তখন থেকে এখন পযন্ত পরপর তিনটি ছাত্রলীগের কমিটি হয়ে গেল কোনো কমিটিতে আমাকে রাখা হয়নি। ছাত্রলীগের কমিটিতে আসলো হাইব্রিড, অনুপ্রেবেশ কারি, বসন্তের কুকিলেরা। আমার প্রশ্ন ২০১৪ সালে তাঁরা কথায় ছিল, ছাত্রদলে থেকে মিছিল করে, টায়ার জালিয়ে, নিবার্চনকে বন্ধ করার জন্য রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলো আজকে তারা হলো ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদক।
আমার নেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে নির্দেশ দিয়েছে সেভাবে কমিটি হচ্ছে না। এটাতে আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ২নং কেতকীবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদক এবং প্রতিটি ওয়াডের সভাপতি, সম্পাদক প্রত্যয়ন দিয়েছে আমাকে ছাত্রলীগের সভাপতি করার জন্য এমনকি ডোমার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদকে ফোনেও আমার ব্যাপারে সুপারিশ করেছিলেন। ডোমার- ডিমলা মাটি ও মানুষের নেতা জনাব আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার আমাকে সভাপতি করার জন্য উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিকে বলেন। দুঃখের বিষয় আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান হয়েও কমিটিতে আসতে পারলাম না।
টাকার বিনিময়ে রাতে আঁধারে ছাত্রদলের দুই নেতাকে কমিটি দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক। আমি নীলফামারী জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে অনুরোধ করছি এই কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে ত্যাগীদের দ্বারা কমিটি গঠন করা হোক।
এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সব্যসাচী রায় সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল রিসিভ করেনি , পরে ডোমার উপজেলা ছাত্রলীগের, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মানিকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি এখনো।

ডেইলি কলমকথার সকল নিউজ সবার আগে পেতে গুগল নিউজ ফিড ফলো করুন
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।