দেশে চলমান গভীর সংকট থেকে উত্তরণ ও সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার সম্পন্ন দেশ গড়ে তুলতে সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনগণের ঐক্য গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণফোরাম (একাংশ) নেতৃবৃন্দ। আজ বুধবার গণফোরাম কার্যালয়ে প্রায় তিন ঘন্টার বৈঠকে দুই দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ দেশের অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা দেখলাম যে পুলিশ বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে সর্বপ্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো তাদের দিয়েই জনগণের ভোট মধ্যরাতে চুরি করিয়ে নিল। যে সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যেই সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ পেয়েছে বাংলাদেশ তাদেরকে ভোট চুরির পাহারাদার করে জনগণের অধিকার হরণ করলো।

তাই জনগণের অধিকার আদায়ে রাজপথে আন্দোলন ব্যতীত ভিন্ন কোন পথ খোলা নেই। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম জোরদারের আহ্বান জানান তিনি।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বিদ্যমান কর্তৃত্ববাদী সরকারকে রাজনৈতিক ভাবে পরাজিত করতে না পারলে ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন কোন কিছুই অর্জন করা যাবে না। এই সংগ্রামে জিততে হলে সমন্বিত ও যুগপৎ ধারায় রাজপথে বিরোধী দলসমূহের কার্যকরি ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এই সংগ্রামে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিকে দায়িত্বশীল উদ্যোগী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

সভায় আরো বক্তৃতা করেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোহসীন রশিদ, মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মীর মোজাম্মেল হোসেন মোশতাক ও ইফতেখার আহমেদ বাবু।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আগেকার যেকোনো স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী দখলদার সরকারের চেয়ে বর্তমান অবৈধ সরকার অনেক বেশী ধূর্ত, ভন্ড ও নীতি-নৈতিকতাহীন এদের হটাতে গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক দল-মতের বৃহত্তর ঐক্য দরকার। শুধু সরকার বদলের জন্য নয়, দেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরী করতে হবে।