ডেস্ক রিপোর্ট

গতকল ২১ মার্চ ২০২২ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ছাত্রলীগ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত কিছু খবরের প্রতিবাদে একটি প্রতিবাদ লিপি প্রকাশ করে। এতে লেখা “দীর্ঘবিরতির পর গত ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল কমিটি গঠন হয়। এতে অমর একুশে হল ছাত্রলীগের দায়িত্ব দেয়া হয় এনায়েত এইচ. মনন ও ইমদাদুল হাসান সোহাগকে। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই মনন-সোহাগ কমিটি তাদের স্বাতন্ত্র্য ধরে রেখে হলের সাধারণ ছাত্রদের অধিকার আদায়ে ও আত্মিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভালোবাসা দিবসে অভিষেক লগ্নে হৃদয়ের আলাপন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাতৃভাষা দিবস সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ভাষা দিবস ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বৃক্ষরোপন ও পাঠচক্র ইত্যাদি এবং অগ্নিঝরা মার্চ উপলক্ষে শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু একটি বিশেষ অসাধু গোষ্ঠি ও কুচক্রীমহল ছাত্রদের জন্য অমর একুশে হল ছাত্রলীগের কার্যক্রমগুলোকে ভালোভাবে নিতে না পেরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। যার বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখতে পাই সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের অনলাইন ও ছাপা সংস্করণে প্রকাশিত সংবাদসমূহে। প্রকাশিত সংবাদগুলোর সকল তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
উল্লেখ্য, আনন্দবাজারের বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বিএনপি-জামাতের সাবেক পদধারী এবং তাদের ছত্রছায়ায় আনন্দবাজারে সরকারী খাসজমি বেদখল, মসজিদের টাকা আত্মসাৎ, পতিতাবৃত্তিসহ নানা ধরনের অসামাজিক ও অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, সংবাদের বর্ণিত পরিস্থিতি অভিযোগকারীদের অন্তঃকোন্দলের ফলাফল। এর সাথে অমর একুশে হল ছাত্রলীগের কোনরূপ সংশ্লিষ্টতা নেই। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এবং অমর একুশে হল ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের চরিত্রহরণের লক্ষ্যে ঘটনার সাথে তাদের নাম যুক্ত করা হয়েছে।
অমর একুশে হল ছাত্রলীগ বিশ্বাস করে, কোন অপশক্তি তাদের ‘দাবায়ে রাখতে পারবেনা’। অমর একুশে হল ছাত্রলীগ এই মিথ্যা সংবাদের বিরূদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কারণ অনুসন্ধানের দাবি জানাচ্ছে।”