যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে মহামারী করোনাভাইরাস আশংকাজনক হারে বিস্তার লাভ করছে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রায় ১ বছর ৪ মাসের মধ্যে বেশির ভাগ সময়ে সরকার ঘোষিত লকডাউন বা বিভিন্ন বিধিনিষেধের মধ্যে দেশের মানুষকে অতিবাহিত করতে হয়েছে। ফলে বিশেষ করে মফস্বল এলাকার দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক অবস্থার মধ্যে পথিত হয়েছে।
এ অবস্থায় এ সমস্ত দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা চিন্তা করে-মনিরামপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি, মাসিক বেতন, অনার্সের বিভিন্ন বর্ষের ফরমপূরণ বাবদ নির্ধারিত টাকা যথাসম্ভব সীমাবদ্ধতার মধ্যে রাখাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ বিএম রবিউল ইসলাম ফারুকীর সাথে মণিরামপুর উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার কলেজের অধ্যক্ষ বিএম রবিউল ইসলাম ফারুকীর অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মাহমুদুল হাসান রকি, মণিরামপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য রমেশ দেবনাথ, কামরান হোসেন, জি এম রাসেল, মাহবুর রহমান, রাকিব হাসান, পৌর ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর অভি, রিয়াদ সোহান, সুজন প্রমুখ। এ বিষয়ে ছাত্রলীগনেতা মাহমুদুল হাসান রকি বলেন, অধ্যক্ষ স্যার আমাদের কথা আন্তরিকতার সাথে শুনেছেন এবং আমাদের দাবীর যৌক্তিকতা স্বীকার করেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তাছাড়া সকল দরিদ্র শিক্ষার্থীদের কাছ ৫’শত টাকা কম নেয়া হবে বলে তিনি আমাদের জানিয়েছেন।
অধ্যক্ষ বিএম রবিউল ইসলাম ফারুকী বলেন, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের দাবীর বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে। ইতোমধ্যে অনার্স ২য় বর্ষের অঙ্গিকার নামা নেওয়ার জন্য যে ১ হাজার টাকা নির্ধারন করেছি- যে ৩ মাসের বেতন। করোনা কালিন সময় শিক্ষার্থীরা ১৫ মাসের বেতন দেয়নি, ওই ১৫ মাসের মধ্যে মাত্র ৩ মাসের মাসের টাকা নেয়ার সিদ্ধান্ত আমরা আগেই ঘোষনা দিয়েছি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।