২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বার্ষিকীতে কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। দিনটিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করবে দলটি। এ উপলক্ষ্যে আগামীকাল ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন দলের নেতাকর্মীরা।

ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১০টায় মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এ সময় রিজভী বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন এবং সাবেক চারবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখে হত্যার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আজও তিনি গুরুতর অসুস্থ। বর্তমান সময় সংকটময় ও সমস্যাদীর্ণ গণতন্ত্রের সময়। কিন্তু মানুষ আর বসে থাকছে না। ১৪৪ ধারা ভেঙে বেরিয়ে আসছে মানুষ।

তিনি বলেন, বিএনপি যেখানেই সমাবেশ দিচ্ছে, সেখানেই মানুষের ঢল নামছে। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠছে মানুষ। আওয়ামী লীগ কখনই নিজেদের স্বার্থসর্বস্বতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারে না।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন, বিএনপির সমাবেশে বাধা দিচ্ছে না সরকার। যদি সরকার বাধা দিত তা হলো বিএনপির জনসমাবেশে এত লোক এলো কীভাবে? ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে প্রশ্ন— সিরাজগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে অস্ত্রহাতে যারা হামলা করেছে, তারা কারা?

গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে এরা সবাই যুবলীগের কর্মী। এরা তো সবাই যুবলীগের কর্মী। তারা এখনও ধরা পড়ছে না কেন? পটুয়াখালীতে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ হামলা অনেককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে, গুলি করে অনেককে আহত করেছে, এরা কারা? গাজীপুরের সমাবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল কেন? বাগেরহাটে ছাত্রদলের সমাবেশে বাধা দিয়েছিল কেন? কক্সবাজার, নওগাঁ ও ফেনীতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে কেন? হবিগঞ্জে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ শত শত নেতাকর্মীর ওপর গুলি করল কেন? শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অপরাধে বিভিন্ন জেলায় হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে মামলা হচ্ছে কেন? নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে কেন?

তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদেরের কাছে এসব প্রশ্নের জবাব চাচ্ছি। ক্ষমতাসীনদের হরেক কিসিমের প্রতারকরা জনগণকে ক্রমাগত প্রতারণা করে চলছে। আমি কাদের সাহেবকে পরিষ্কার বলে দিতে চাই— কর্তৃত্ববাদী হিংস্র শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে দেশের মানুষ কঠিন সংগ্রামে অঙ্গীকারবদ্ধ। ভোটার বিহীন সরকারের দিন শেষ। ভোট ডাকাতির দিন শেষ। বাংলাদেশের জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে নেমে গেছে। বিশ্ববিবেক জেগে উঠছে। যেভাবে অবরুদ্ধের খবর আসছে তাতে অনেক মন্ত্রী, এমপি ও আমলাদের মতো পালানোর রাস্তাও তাদের খোলা নেই। গণতন্ত্রের জয় অবশ্যম্ভাবী।