যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের সফরে বিএনপি নেতাদের আশা পূরণ হয়নি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আসল খবর হচ্ছে- বিএনপির নেতারা আশার মালা গেঁথে প্রহর গুনছেন কখন আসবে উজরা জেয়া, কখন আসবে ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা। কিন্তু তারা এসে চলে গেলো। বিএনপি যা শুনতে চেয়েছিল, তাদের চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে। বিএনপি নেতাদের মধ্যে এখন আর আনন্দ নেই। যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ বলে গেছে, তত্ত্বাবধায়ক আমাদের প্রয়োজন নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চাই। বিএনপি নেতারা এখন আর খুশি নেই। তাদের আশা পূরণ হয়নি। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করতে হবে, সেটাই তাদের জ্বালা।
আজ বুধবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ দাবি করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিএনপির নেতাদের আমেরিকা বলে গেছে, বাংলাদেশের নিয়ম, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। ইউরোপ ও বলেছে, আমেরিকাও বলেছে। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের বলব, মানসম্মান রাখতে চাইলে আন্দোলন রেখে নির্বাচনে আসুন। গতবার তো পাইছেন সাতটা। এইবার কি হবে আল্লাহ জানে! বিএনপির ভোট আছে?
আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, সারা বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া-সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন। সারা বাংলায় স্লোগান একটা- শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনতার ঢল দেখতে চান, বিএনপি নেতাদের বলি সাত রাস্তায় আসুন। জনতার ঢল কাকে বলে দেখে যান। শুধু মানুষ আর মানুষ। লক্ষ লোকের সমাবেশ। এক অভূতপূর্ব বিস্ময়। বাংলাদেশের মানুষ কি চায়? কাকে চায়? শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ।
বিএনপির উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, মানুষের শক্তি যখন কমে যায়, তখন চোখে-মুখে থাকে বিষ। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করতে হবে- সেটাই তাদের জ্বালা। এমনিতেই পদ্মা সেতুর জ্বালা। হায়রে জ্বালা। মেট্রোরেল তাদের সহ্য হয় না। হায়রে জ্বালা! অন্তর জ্বালা! অন্তর জ্বালায় মরে কে? বিএনপি।
তিনি বলেন, পদযাত্রা করতে গিয়ে বাঙলা কলেজে হামলা করে, খাগড়াছড়িতে হামলা করে, বগুড়ায় স্কুলের ছাত্রলীগের হামলা করে, ককটেল মারে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা মাথা গরম করবেন না। ওরা পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে চায়। আমরা শান্তি চাই। শান্তি যত থাকবে, আমাদের ভোট তত বাড়বে। মাথা গরম করো না। এই যে তরুণ-তুর্কিরা, হুট করে মাথা গরম!
আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, খেলা হবে ডিসেম্বরে। তৈরি হয়ে যান। আজকে বিএনপির নেতারা, জনগণের শক্তি একদিকে, আরেকদিকে সন্ত্রাস আর অস্ত্র। রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে না আসলে- সেটা আপনাদের বিষয়। কিন্তু নির্বাচনে বাধা দিতে আসবেন, আমরা জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করব।
তিনি বলেন, এক দফা, এক দাবি ভুয়া। ২৭ দফা ভুয়া। ৫৪ দল ভুয়া। বিএনপির জোট ভুয়া। বাংলার জনগণ বিএনপির ভুয়া রাজনীতি চায় না।
সমাবেশে সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। জানান, অক্টোবরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হবে। চট্টগ্রামবাসী পাবেন টানেল।
আগামী মাসে একদিনে আরও একশ’ সেতু উদ্বোধন করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ঘুম নাই, কিভাবে ঠেকাবে এত উন্নয়ন?’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, যুবলীগের সধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল প্রমুখ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।