পটুয়াখালীর পায়রায় বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ ধরনের মেগা প্রজেক্টে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশা ও আজকের বাংলাদেশ এবং চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে সরকারের অর্জন কী? এরা বলে তাদের অর্জন মেগা প্রজেক্টস, পদ্মা ব্রিজ।
আজকের পত্রিকায় আছে বিদ্যুৎ এখন থেকে নাকি পুরোটাই দেওয়া হয়ে গেল। কিসের মূল্যে, কার মূল্যে এটা করলেন? এটা করতে পারেনি, মিথ্যা কথা প্রচারণা তারা করছে। তাদের দুর্নীতি করার জন্য, তাদের সম্পদ বাড়ানোর জন্য তারা আজকে জনগণের পকেট কেটে এই সম্পদ তৈরি করছে। এই মেগা প্রজেক্টে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে, সাধারণ মানুষের কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, টিসিবির ট্রাকের পেছনে গিয়ে যারা ন্যায্যমূল্যে পণ্য কেনার জন্য দাঁড়ায় তাদের কোনো উন্নতি হয়নি। গ্রামের কৃষকের পণ্যের দাম বাড়েনি। শ্রমিকের মজুরি বাড়েনি। শিক্ষক ও ছোট ব্যবসায়ীদের অবস্থার উন্নতি হয়নি। যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে, ক্ষমতার সঙ্গে ভাগাভাগি করে লুটপাট করছে তাদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি একটা লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই লুটপাটের স্বর্গরাজ্য আজকে নতুন না। এটা আওয়ামী লীগের কেমিস্ট্রির মধ্যে আছে। যখনই তারা ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পায় তখনই তারা লুটপাট করে। সে জন্য মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সেই শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের সময় বলেছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম পরিবর্তন করে দিয়ে সেটাকে বলা উচিত ‘নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট সমিতি’।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। আমি বলতে চাই, বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে কোনো দিন ক্ষমতায় আসেনি। বিএনপির জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। ১৯৯০ সালে এসেছে এবং পরবর্তীতে প্রতিবারে প্রত্যেকটি নির্বাচনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এই দল ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভালোবাসা নিয়েছে।
গণ-অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আপনারা (মুক্তিযোদ্ধারা) যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন একাত্তরে, সেই স্বাধীনতাটা আর নেই এ দেশে। এটা মুক্ত দেশ না। এখন নতুন একটা স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় এসেছে এই দেশে। সেটাতে আপনারা সবাই অংশগ্রহণ করবেন। ইনশাআল্লাহ যদি আল্লাহ আমাকে সুযোগ দেয় আমিও থাকব সেই যুদ্ধে। ’
সংগঠনের উপদেষ্টা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের পরিচালনায় আলোচনাসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, শওকত মাহমুদ, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ডা. শাহাদাত হোসেন, শিরিন সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।