ইকরামুল হোসেন: আগামীকাল ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকীতে সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শোক জ্ঞাপন করেন মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের তরুণ নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলমগীর হোসেন আলম।

আজ ১৪ আগস্ট (শনিবার) সকাল ১০ ঘটিকায় শ্যামকুড় ইউনিয়ন আওয়ামীগের দলীয় কার্যালয়ে একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে পালন করে দিনটি। তবে এবার বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করা হবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। পৃথক বাণীতে মহান আল্লাহর দরবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন তিনি।

এসময় আরও গভীর শোক জ্ঞাপন করেন, মনিরামপুর উপজেলার জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্যামকুড় ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী সাংগঠনিক সম্পাদক বি,এম হাফিজুর রহমান, ইউনিয়ন কৃষকলীগের আহ্বায়ক সাগর, শ্যামকুড় ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সম্মানিত সভাপতি বাবর আলী বাবুসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দরা