স্টাফ রির্পোটার,মনিরামপুর,যশোর: মনিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অদ্য ২৭ আগস্ট (শনিবার) বিকেলে খেদাপাড়া ইউনিয়ন হাসপাতাল মোড় চত্ত্বরে ইউনিয়ন আ.লীগের আহ্বায়ক মোঃ সামছুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বাবু স্বপন ভট্টাচার্য এমপি।

এ সময় বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকেরা সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু, কর্নেল জামিলসহ ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার। বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপসহীন ফাঁসির মঞ্চেও তিনি বাংলা ও বাঙালির জয়গান গেয়েছেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, যা ছিল মূলত স্বাধীনতারই ডাক। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে। যারা বাঙালি জাতির মহান নেতাকে ও তার সপরিবারকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে কঠিন শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মনিরামপুর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, ৩নং ভোজগাতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, যশোর জেলা পরিষদের সদস্য গৌতম চক্রবর্তী, তরুন আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাড. বশির আহম্মেদ খান, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ আহ্বায়ক ও ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্ত্তী বাচ্চু, তরুণ নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার, চালুয়াহাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহম্মেদসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দরা

ডি.জে হাসান/কলমকথা