রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটে বাংলাদেশ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সরকার আগেভাগে সতর্কতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এজন্য জনগণকে মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘বর্তমান সংকট বৈশ্বিক। বাংলাদেশ যেন এই অভিঘাতে জর্জরিত না হয় সেজন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।’

‘বর্তমান সরকার আসন্ন সংকট মোকাবিলায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করে, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস থাকলে কোনও সংকটই মোকাবিলা করা কঠিন নয়। আমরা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাবো, আসুন সকলেই দায়িত্বশীল হই; মিতব্যয়ী এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হই’- বলেন কাদের।

এসময় বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘যারা তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন খুলে পাহাড় সমান দুর্নীতি আর লুটপাটে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল; দেশের মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়িত মেগাপ্রকল্পগুলো তাদের গাত্রদাহের সৃষ্টি করবে সেটাই স্বাভাবিক।’

‘বিএনপি এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের রাজনীতিতে কখনোই আস্থা রাখেনি। তাদের রাজনৈতিক দর্শনই ছিল লুটপাটতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।’

‘আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সফল রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি আজ বিশ্ব সভায় প্রশংসিত।’

বর্তমানে যারা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাদের মনে রাখা উচিত, তাদের শাসনামলে দুর্নীতিতে পাঁচ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণেই দেশের অর্থনৈতিক ভীত অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল- বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কোনোদিন ৫ বিলিয়নের ওপরে ছিল না। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সুশাসনের কারণেই বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।