আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে কঠোর হচ্ছে আওয়ামী লীগ। এবার দলটি বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন দেবে না।
এছাড়া তৃণমূলে যাদের সংযোগ নেই তাদেরও দেওয়া হবে না মনোনয়ন। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বৈঠকে উপস্থিত নেতারা। তারা জানান, আগামী নির্বাচনে মনোনয়নে ব্যক্তির গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা প্রাধান্য পাবে।
এ প্রসঙ্গে বৈঠকে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি মাঠে টিম পাঠিয়েছি। জরিপ চলছে। সবদিক বিবেচনায় প্রার্থী দেওয়া হবে। কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি, তৃণমূলে যাদের সংযোগ নেই তাদের এবার নমিনেশন দেওয়া হবে না। কারণ এবার নির্বাচন হবে কঠিন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি এখন যতই বলুক, নির্বাচনে অংশ নেবে না- আসলে তারা সঠিক সময়ে পুরো শক্তি নিয়োগ করেই ভোট করবে। সে কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন হবে নির্বাচন। কাজেই যারা মনে করেন নমিনেশন পেলেই পাস হয়ে যাবেন, সে চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। এবার দৌড়ে পাস করতে হবে। বসে পাস করার সুযোগ নেই। সেভাবেই দলীয় নমিনেশন দেওয়া হবে।
এদিকে ভোটকক্ষে সিসিটিভি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা বলছেন, ভোট দেওয়ার গোপনকক্ষে সিসি টিভি বসানো সংবিধান পরিপন্থী। এ নিয়ে শিগগির ইসিতে আওয়ামী লীগ তাদের মতামত দেবে।
অন্যদিকে ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগেই, দলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা শাখা এবং সহযোগী সংগঠনগুলোকে সম্মেলন করে নতুন কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সম্মেলন না করলে কমিটি ভেঙ্গে দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় কাউন্সিলের আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনগুলোকে সম্মেলনের নির্দেশনা দিয়েছেন দলের প্রধান। সাধারণ সম্পাদকসহ আমাদের বসে নেত্রীর সঙ্গে সমন্বয় করে এগুলোর তারিখ নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সম্মেলন না করলে কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের উপজেলা পর্যায়েও সম্মেলন না করলে কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে নেত্রীর।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।