জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মাদ (জিএম) কাদেরের বিরুদ্ধে মহিলা এমপি পদের মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগের আবেদন নিয়ে যথাযথ আদালতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের লিখিত আদেশ প্রকাশিত হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্তে গাফিলতি হলে দুদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) এ বিষয়টি জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মাদ হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, গতকাল সোমবার (৩১অক্টোবর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সাক্ষরের পর এটি প্রকাশ করা হয়।
৬পৃষ্ঠার এ রায়ে বলা হয়, রিট আবেদনটির শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না। বিবাদীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আদালতে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে আবেদনটি নিষ্পত্ত্বি করা হলো।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর মৌখিকভাবে এ আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে এমপি পদের মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে আবেদন নিষ্পত্তি চেয়ে একটি রিট করা হয়েছিল। সে রিটের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
জাতীয় পার্টির পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার দফতর সম্পাদক ইদ্রিস আলী গত মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর একটি আবেদন করেন। আবেদনটি দুদক নিষ্পত্তি করতে পারেনি। পরে আদালতে তিনি রিট আবেদন করেছেন। আজকে ওই রিটের শুনানি করা হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।