আজ যারা বড় বড় কথা বলছেন, ২০১৪ সালে তাদের কার, কি ভূমিকা ছিলো তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে জাতীয় পার্টির আসন্ন সম্মেলনের যুগ্ম আহবায়ক ও এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ বলেছেন, রওশন এরশাদ যদি ভুল সিদ্ধান্তই নিতেন, তাহলে পার্টির অস্থিত্বই থাকতো না। ২০০১ সালে পার্টির কি পরিনতি হয়েছিল ভুলে গেছেন।
তখন এরশাদকে দেশ ছেড়ে যেতে হয়েছিল। তখন আপনারা কে কই ছিলেন? আপনারা ভুলে যান কেনো, পল্লীবন্ধুর মাথার উপর বিএনপির দেয়া ফাঁসির দঁড়িই ঝুলছিল। এরশাদের বিপদে কেউ যখন তার পাশে ছিল না, তখন বার বারই এগিয়ে এসেছেন রওশন এরশাদ।
রোববার দুপুরে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় কাজী মামুন বলেন, বিএনপি ও চুন্নু গংদের ডলার বিনিয়োগে আজ যিনি রওশন এরশাদকে নিয়ে ইউটিউবে কথার দূঃসাহস দেখাচ্ছেন তিনি ছিলেন এরশাদের সামান্য আইটি টেকনিশিয়ান। সে, ২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রেক্ষাপট নিয়ে মিথ্যা গল্প সাঁজিয়েছে।
সে দিন যারা রওশন এরশাদের পাশে ছিলেন, তারা আজ বুকে হাত দিয়ে জবাব দিন, তিনি কি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন? রওশন এরশাদের সেদিনের সিদ্ধান্তে এমপি ও মন্ত্রী হয়েছিলেন।
মামুনুর রশীদ বলেন, পল্লীবন্ধুপুত্র সাদ এরশাদকে নিয়ে কিছু বলার আগে নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখুন। কার দল করে আজ আপনি বড় নেতা, এমপি-মন্ত্রী, তা একটু ভাবুন। পার্টিতে নাম না জানা যাদের রওশন এরশাদ এমপি বানিয়েছেন, তারা আজ বড় বড় কথা বলছেন? সময় হলে কঠিন জবাব দেয়া হবে ইনশাল্লাহ।
জেলা জাপার আহ্বায়ক অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল হেলালের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাপার কেন্দ্রীয় নেতা জামাল রানা।
জেলা জাপার সদস্য সচিব সৈয়দ মুকাব্বির হোসেনের সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জাপার যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ খাঁন, আজিজ আহমেদ, যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাড. এজাজ আহমেদ, আজিম খাঁন বাবু, সোলায়মান মজুমদার, জাতীয় ওলামা পার্টির নেতা মাওলানা সিরাজুল ইসলাম খাঁন, হাফেজ মাওলানা শফিকসহ আরো অনেকে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।