বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বলেছেন, বিএনপির কথায় শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবে না, করতে পারে না। তিনি বলেন, নির্বাচন না করে ক্ষমতায় আসার কোন বিকল্প পথ নেই। যদি জনপ্রিয়তা থাকে তাহলে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে দেখান। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। সংবিধান অনুযায়ী দেশে আবার নির্বাচন হোক এটিই দেশবাসীর দাবি। অথচ বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল এই নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র উঠে পড়ে লেগেছে। একদিন আগে তারা ঢাকা শহরের প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়ে অন্ধকার যুগের মতো বাসে আগুন দিয়েছে, যানবাহন ভাংচুর করেছে।
আজ সোমবার বিকেল ৬টায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা সদরের চৌরাস্তায় পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে শান্তি ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আব্দুর রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে এই দেশের বিদ্যুৎ গিলে খেয়েছিলো। তারেক জিয়ার নেতৃত্বে হাওয়া ভবন তৈরি হয়েছিলো।
দেশের টাকা পাচার করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে মঙ্গা করেছিলো। নির্বাচনকে সামনে রেখে একের পর এক দফা দিয়ে বিএনপি রফায় পরিনত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন হতে দিবে না, অথচ ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদের লক্ষ্য নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসার রাস্তা তথা আরেকটি ওয়ান ইলেভেন তৈরি করা। বাংলাদেশের কিছু জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের দিয়ে অরাজনৈতিক সরকার গঠন করা।সর্বশেষে তিনি আরো বলেন, আগামীতে শেখ হাসিনাকে আপনারা ম্যান্ডেট দেন। আর আমি যদি আপনাদের সন্তান প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকতে পারি তাহলে ফরিদপুর-১ আসনের তিন উপজেলাকে উন্নয়নে ভরে দিবো ইনশাআল্লাহ।
বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মৌতুজা আলী তমালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকীর পরিচালনায় ছাত্র শান্তি সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু, বোয়ালমারী পৌর মেয়র সেলিম রেজা লিপন, মধুখালী পৌর মেয়র মোর্শেদ রহমান লিমন, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, নাসির মোহাম্মদ সেলিম, এসএম ফারুক হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল সিকদার, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু, দাউদুজ্জামান দাউদ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী রায়হান রকি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান, সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমদ প্রমুখ।
সমাবেশে দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল, নসিমন, করিমনসহ বহর ও মিছিল সহকারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যোগ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের এ শান্তি সমাবেশ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমানের সমর্থনে নির্বাচনী জন সমাবেশে পরিণত হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।